বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়ায় মেয়রের বাড়ি। গত পুরভোটে তিনি ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি মেয়র হন। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের উন্নয়ন নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অসন্তুষ্ট। বিভিন্ন সময় ওয়ার্ডে গিয়ে বিষয়টি টের পেয়েছেন মেয়র। এজন্য তিনি এবার ওয়ার্ডে কার্যত মাটি কামড়ে পড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে তিনি ওয়ার্ডের লেকটাউন, নবগ্রাম, এসএন দত্ত সরণি, সত্যপ্রিয় রায় সরণি, গেট বাজার প্রভৃতি এলাকা চষে বেড়ান। এজন্য তিনি নিজের এসি গাড়ি ব্যবহার করেননি। রোদ উপেক্ষা করে কখনও ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব দত্তর বাইকে চেপে, আবার কখনও হেঁটে ওয়ার্ডের অলিগুলি ঘোরেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকাগুলিতে রাস্তা তৈরি, নিকাশি নালা সংস্কার, কালভার্ট ও নালার গার্ডওয়াল তৈরির কাজ তদারকি করেন। বর্তমানে এলাকায় পাঁচটি রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পাঁচ-ছ’টি গলিতে পেভার ব্লক পাতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এলাকার শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মীদের বাড়িতে যাচ্ছেন। প্রাক্তন কাউন্সিলার সিপিএমের অসীম সাহার প্রয়াত ভগ্নিপতির বাড়িতেও যান। তাঁদের খোঁজখবর নেন।
গৌতম বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্শীবাদেই মেয়র হয়েছি। তাই তাঁদের সেবা করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। সপ্তাহে তিন-চারদিন ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরছি। সর্বত্র বড় গাড়ি যেতে পারবে না। তাই বাইকে ও হেঁটে ঘুরছি। এতে অনেক মানুষের কাছে যেতে পারছি। শরীরও ফিট থাকছে। ওয়ার্ড অফিসেও বসছি। এখানে উন্নয়নমূলক কাজে আরও গতি বাড়বে বলেই আশা করছি।
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের পুর পরিষেবার মান নিয়ে নাগরিকদের একাংশের ক্ষোভ অনেকদিনের। কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়রের সঙ্গীত চর্চার ভিডিও’র কমেন্ট বক্সে ওয়ার্ডের পরিষেবা নিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা প্রশ্ন করেছিলেন। তারপর ৭ মে নবগ্রামে নাগরিক সভায় বাসিন্দাদের একাংশ পরিষেবার মান নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তুলেছিলেন। কয়েকদিন আগে ওয়ার্ডেই মেয়রের বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটে সিপিএম। এমন প্রেক্ষাপটে নিয়মিত ওয়ার্ড পরিদর্শনে আসছেন মেয়র। এনিয়েও কটাক্ষ করেছে সিপিএম।
ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সিপিএমের অসীম সাহা বলেন, পুরভোটের আগে ওয়ার্ডে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উনি। কিন্তু, ওয়ার্ডে থাকা তো দূরঅস্ত, ভোট মেটার পর থেকে এলাকায় সেভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। ওয়ার্ডবাসীরা সরব হওয়ায় ওঁর টনক নড়েছে। এটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। জবাবে মেয়র বলেন, বিরোধীরা প্রায় নির্মূল। তাই ওঁদের বক্তব্য নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। নিজস্ব চিত্র