কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকার ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। গরমের হাত থেকে স্বস্তি পেতে এসি, কুলার, ফ্যান কিনছেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা প্রকল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোচবিহারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শনিবার নাগাদ মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন দুপুরে নৃপেন্দ্রনারায়ণ রোডের একটি ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে দাঁড়িয়ে উপেন্দ্র দাস নামে এক ক্রেতা বলেন, দিনকয়েক ধরেই প্রচণ্ড গরমে টেকা দায় হয়ে পড়েছে। এসি অনেকটাই ব্যয়বহুল। তাই গরমের হাত থেকে বাঁচতে কুলার কিনলাম। পাটাকুড়ার বাসিন্দা শঙ্কর বসু বলেন, গরমে ক’দিন ধরে খুবই কষ্ট হচ্ছে। তারপর উপর রাতে লোডশেডিং।
ব্যবসায়ী সুনীল পোদ্দার বলেন, এসি’র চাহিদা রাতারাতি বেড়েছে। আমরা সরবরাহ করতে পারছি না। বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই নির্দিষ্ট কোম্পানির নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের কুলার কিনতে আসছেন। দিতে পারছি না। এসি, কুলারের পাশাপাশি স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও একলপ্তে বেড়েছে অনেকটাই। রাজমাতা দিঘি সংলগ্ন একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স শপের কর্ণধার সুভাষ সাহা বলেন, প্রতিদিনই এসি, কুলার, স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত করা হয়েছে।
লোডশেডিং প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কোচবিহারের রিজিওনাল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, কারিগরি সমস্যার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা মিটতে আরও এক-দু’দিন সময় লাগবে। তবে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা প্রকল্পের প্রিন্সিপাল নোডাল অফিসার অধ্যাপক শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই এখানে গরম চলছে। আগামী শনিবার রাতে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করার সম্ভবনা রয়েছে। সেটা হলে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যাবে।
১-৮ জুন পর্যন্ত কোচবিহারে তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৭.৫, ৩৭.৭, ৩৬.৬, ৩৬.৩, ৩৫.৩, ৩৭.০, ৩৬.৮ এবং ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৫ জুন মাত্র ৫৫.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারে হাঁসফাস করা গরমের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ এসি, কুলার, স্ট্যান্ড ফ্যান কিনতে ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানগুলিতে যাচ্ছে। যাঁরা ওসব দোকানে নিজেদের পছন্দ মতো কোম্পানির, ব্র্যান্ডের জিনিস পাচ্ছেন না, তাঁরা অনলাইনে অর্ডার করছেন। প্রতীকী চিত্র