পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এভাবেই মরশুমি সব্জির দাম বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। একে প্রচণ্ড গরমে জেরবার জনজীবন। তারপর সব্জির দাম আগুন হওয়ায় সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। এবার মরশুমি সব্জির দাম কেন কমছে না, এ প্রশ্নে অনেকেই মনে করছেন সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় একটানা দাবদাহে উৎপাদন কম হচ্ছে। কিন্তু, কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, মরশুমি সব্জির উৎপাদন কম হওয়ার অন্যতম কারণ প্রচণ্ড গরমের জন্য ক্ষতিকর পতঙ্গের দাপট বেড়ে যাওয়া। শিলিগুড়ি মহকুমার সহকারী কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) পার্থ রায় বলেন, এ বছর আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তন হয়েছে। একটানা দাবদাহ চলছে। প্রচণ্ড গরম, বৃষ্টি নেই। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিকর পতঙ্গের দাপট বেড়ে যায়। এবার প্রচণ্ড গরমে জমিতে মাইস, লুপারের মতো সাকিং টাইপ পতঙ্গ বেড়ে গিয়েছে। এরাই জমিতে থাকা সব ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। এই ক্ষতিকর পতঙ্গের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে গিয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু, তাতেও সব ফসল তথা মরশুমি সব্জি রক্ষা করা যাচ্ছে না। জমিতেই অনেক ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে সব্জি উৎপাদনে মার খাচ্ছে। তারজন্যই এবার মরশুমি সব্জির দাম বেড়েছে। শীঘ্রই টানা বৃষ্টি শুরু না এলে আগামী দিনে সব্জির দাম আরও বাড়বে।
শুধু সব্জিই নয়, মাছেরও দাম বাড়ছে। অন্যান্য বছর এ সময় মাছের যা দাম থাকে এ বছর মাছের দাম গড়ে ১০০-২০০ টাকা কেজিতে বেড়েছে। শিলিগুড়ির মুখ্য নিয়ন্ত্রিত বাজারের হোলসেল মাছ ব্যবসায়ী অরুণ ছেত্রী বলেন, শিলিগুড়ির বাজারে মূলত বিহার থেকেই বেশি মাছ আসে। বিহারে তীব্র গরমে জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে। তারজন্য তেমন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি এই গরমের কারণে বরফ তাড়াতাড়ি গলে যাচ্ছে। ফলে মাছ যেটুকু আসছে, তার অনেকটা পচে যাচ্ছে রাস্তাতেই। এ কারণেই মাছের দাম এখন ১০০-২০০ টাকা কেজিতে বেড়েছে।