কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নাগরাকাটার চা শ্রমিক পরিবারের ছেলে সাগর খেরিয়া আগে চা বাগানেই রাসায়নিক ছড়ানোর কাজ করতেন। মাস কয়েক আগে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। ময়নাগুড়ির বাসিন্দা তরুণ রায় পেশায় গাড়িচালক। আরও বেশি রোজগারের আশায় বন্ধুর সঙ্গে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। মা, বোন শনিবার সন্ধে পর্যন্ত জানতেই পারেননি তরুণবাবু আর বেঁচে নেই।
শোকে পাথর চাঁচলের বিষণপুরের এর দুঃস্থ পরিবার। স্ত্রী রুকসানা খাতুন বলছিলেন, এই প্রথম আমার স্বামী মাসরেকুল আলম দক্ষিণে কাজ করতে যাচ্ছিল। টাকা রোজগারের জন্য। সেই আশা পূরণ তো দূরঅস্ত, ট্রেন দুর্ঘটনায় মানুষটাই চলে গেল। আর প্রায় অকালেই ঝরে গেল গঙ্গারামপুরের লালচন্দ্রপুর গ্রামের তরুণ সুমন রায়। টাকা রোজগার করে পরিবারের পাশে দাঁড়াবে বলে বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছিল। ঘাতক করমণ্ডল তাঁকেও কেড়ে নিয়েছে। সরকার ও দুর্ঘটনা কবলিত পরিবার সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের ওই পাঁচ জেলায় চারজনের মৃত্যু ছাড়াও জখম হয়েছেন প্রায় ৬৪ জন।
কোচবিহারের দিনহাটায় নিখোঁজ দুই বাসিন্দার খোঁজে বাড়ির লোকজন অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সড়ক পথে বালেশ্বরে রওনা দিয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি প্রশাসনিকভাবে রাজ্য সরকার এবং ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যানও। জেলা প্রশাসনের তরফেও জেলায় দুটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় মোট জখম হয়েছেন ১৪ জন, কোচবিহারে জখম ২, নিখোঁজ ৩, আলিপুরদুয়ার জেলায় জখম হয়েছেন তিনজন। মালদহে মোট ২৩ জন জখম হয়েছেন। জখমদের সিংহভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ২৩ জনের মধ্যে বেশিরভাগেরই চোট সামান্য। তাঁদের মধ্যে বেশকয়েকজন পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসে রবিবার ভোর ৪টেয় মালদহ টাউন স্টেশনে নামবেন। জেলায় কন্ট্রোল রুম সহ মালদহ টাউন স্টেশন এবং বৈষ্ণবনগর টোল প্লাজায় হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে।