রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
যদিও বিদ্যুৎ দপ্তরের কোচবিহারের কর্তাদের দাবি, এমনটা হওয়ার কথা নয়। দিনে কমপক্ষে তিন থেকে চারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট একপ্রকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও ১৫ মিনিট, তো কখনও এক-দেড় ঘণ্টাও পরিষেবা বন্ধ থাকছে। গরমে এক মুহূর্তই ফ্যান ছাড়া ঘরে টেকা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দিনহাটাবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত।
দিনহাটা মহকুমায় বিদ্যুতের ছ’টি সাব স্টেশন। নয়ারহাটে নতুন একটি সাব স্টেশন তৈরি করেছে দপ্তর। কোচবিহার জেলা বিদ্যুৎ দপ্তরের ডিভিশনাল ম্যানেজার মহম্মদ আনসার আলম বলেন এমনটা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, কিছুদিন ধরে ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। একে গরমে নাজেহাল অবস্থা, তারউপর ঘনঘন এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে সমস্যা বাড়ছে আরও। গরমের জন্য ব্যবসার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশঙ্কর মাহেশ্বরী বলেন, কিছুদিন আগেও লোডশেডিং সেইঅর্থে হতো না। কিন্তু, গরম বাড়তেই পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং শুরু হয়েছে।
বিদ্যুৎ দপ্তরের দিনহাটা আধিকারিক কল্যাণ সরকার বলেন, মহকুমায় সাতটি সাব স্টেশন রয়েছে। স্টেশনের ইনচার্জদের সঙ্গে সর্বক্ষণই যোগাযোগ রাখা হয়। স্থানীয়ভাবে কোনও সমস্যার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গরমের জন্য ফ্যান, এসি, কুলারের ব্যবহার বেড়েছে। জলের খবচ বৃদ্ধিতে লোকজন ঘনঘন মোটর চালিয়ে ওভারহেড ট্যাঙ্কিতে জল তুলছেন। অতিরিক্তি বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে ট্রান্সফরমারে চাপ বাড়ছে। সেই কারণে স্থানীয়ভাবে পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে।