কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক তজমুল হোসেন বলেন, এই সেতু সংস্কারের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব গিয়েছে। রাজ্যের সেচ দপ্তরের বরাদ্দকৃত অর্থে কাজ শুরু হবে।
ব্লক সদরে যাওয়ার জন্য কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের এই সেতুর উপর নির্ভর করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা তাজমুল হক, হজরত আলি প্রমুখ জানান, ভালুকা, দৌলতনগর ও ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা এই সেতু অতিক্রম করে ব্লক সদর বারোদুয়ারি যান। এছাড়া মালিওর-১ এবং ২, সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা তেলজান্না সেতু হয়ে সড়ক পথে বিহারের কাটিহার যান। এই সেতু অতিক্রম করে মালিওর বাঁধরোড ও সামুখা হয়ে ব্লক সদর বারোদুয়ারিতেও যাওয়া যায়। এটি ব্লক সদর যাওয়ার প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। অথচ লোহার সেতুর পাটাতন ক্ষয়ে দুর্বল হয়ে ফুটো হয়ে গিয়েছে।
বিপজ্জনক এই সেতু অতিক্রম করতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। এই সেতু দিয়ে মাঝেমধ্যেই রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী, বিডিও থেকে শুরু করে এলাকার ছোটবড় নেতারা যাতায়াত করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সেতু সংস্কারের কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। বর্তমানে সেতুর পাটাতন ভেঙে পড়া অংশে স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন যাতে মানুষ দুর্ঘটনার শিকার না হন। এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত এই সেতু সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলম বলেন, এই লোহার সেতু ১৯৭২ সালে সেচদপ্তরের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছিল। তারপর কানখোল নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেতু সংস্কার করা হয়নি। এলাকার বাসিন্দারা তাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।