বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সফল দুই ছাত্রীর মধ্যে কর্ণিকা শহরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সপ্তম শ্রেণির অদ্রিজা শহরের নিউ টাউন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। কত্থক নৃত্যে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া জেলার দুই কন্যাই শহরের একটি নাচের স্কুলের ছাত্রী। দুই ছাত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাদের নৃত্যগুরু দেবজায়া সরকার।
শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রভাত সঙ্ঘ মোড়ের বাসিন্দা কর্ণিকা। ওর বাবা দিলীপ পাল আলিপুরদুয়ার হাইস্কুলের শিক্ষক, মা ইতিদেবী মেয়ের স্কুলের শিক্ষিকা। সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্ণিকা দেবজায়া সরকারের কাছে কত্থক নৃত্য শিখছে। মেয়ের সাফল্যের কৃতিত্বে গর্বিত মা ইতিদেবী মেয়ের নৃত্যগুরুকেই দিয়েছেন। তিনি বলেন, গুরুর সঙ্গে শিষ্যের মানসিক মেলবন্ধন না থাকলে এ ধরনের সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে, শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এগারোহাত কালীবাড়ির বাসিন্দা অদ্রিজার বাবা নন্দদুলাল সরকার ছোট ব্যবসায়ী। আর্থিক দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনার পাশাপাশি মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে নাচ শেখাচ্ছেন তিনি। নন্দদুলালবাবু বলেন, সর্বভারতীয় কত্থক নৃত্যে মেয়ে যে এত বড় সাফল্য পাবে, আশা করিনি। এর কৃতিত্ব ওর নাচের গুরুর। ও নাচের জগতে যাতে আরও এগিয়ে যেতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
দুই প্রিয় ছাত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাদের নৃত্যগুরু দেবজায়া সরকার। বলেন, রর্ণিকা ও অদ্রিজার এই সাফল্য এসেছে ওদের নাচের প্রতি একাগ্রতার জন্য। আগামীতে ওরা যাতে আরও এগিয়ে যেতে পারে, সেই কামনা করছি। কর্ণিকার স্কুলের প্রিন্সিপাল শুক্লা কারকুন দাম বলেন, কত্থক নৃত্যে এই সাফল্যের জন্য কর্ণিকাকে অভিনন্দন। সর্বভারতীয় স্তরে কত্থক নৃত্যে শহরের দুই ছাত্রীর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জেলার সংস্কৃতি মহল। শহরের নাট্যকর্মী পরিতোষ সাহা বলেন, প্রকৃত গুরুর সান্নিধ্যে থাকলে এই ধরনের সাফল্যে পৌঁছনো যে অসম্ভব নয়, তা দেখিয়ে দিল শহরের দুই স্কুল পড়ুয়া।