কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, জলস্তর মাটির অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছে। মেশিন দিয়ে জল তুলতে অনেক বেশি সময় লাগছে। এই মুহূর্তে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। আমরা জলের সঙ্কট অনুভব করছি। আমাদের দু’টি রিজার্ভার আছে। সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করে জলের ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জল সরবরাহের ব্যবস্থা নিচ্ছি। শহরের বাইরেও আমদের জল সরবরাহ করতে হয়। ট্যাঙ্কারে জল ভরে সরবরাহ করতে সময় লাগবে। সামনে বিয়ের সিজন আছে। সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই পুরসভার জল বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি অত্যাধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে যেন শহরের দুই প্রান্তে জলের ট্যাঙ্কার মজুত করে রাখা হয়।
রায়গঞ্জ শহরের মাঝখানে পূর্ব-পশ্চিম দিক দিয়ে কাটিহার-রাধিকাপুর রেললাইন চলে গিয়েছে। একদিকে রয়েছে ১ থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড। অপরদিকে রয়েছে ১৩ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড। শহরের এই দুই প্রান্তেই দু’টি শ্মশানঘাট আছে। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বন্দর শ্মশানঘাট এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খরমুজা ঘাটে দু’টি ওভারহেড রিজার্ভার রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ পুরসভার হাতে এখন ৫০০০ লিটারের ৪০টি জলের ট্যাঙ্কার আছে। এই ট্যাঙ্কারগুলি পুরসভার কার্যালয়ে থাকা ফিলিং পয়েন্ট থেকেই ভরা হতো। কিন্তু জলস্তর মাটির এতটাই নীচে নেমে গিয়েছে যে ওই ফিলিং পয়েন্টে পাম্প চালিয়ে জল তোলা যাচ্ছে না। শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাড়িতে এবং ফ্ল্যাটে জলের সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘক্ষণ মেশিন চালিয়ে রেখেও ট্যাঙ্কিতে জল তোলা যাচ্ছে না। শহরের জল সঙ্কট দেখা দিতেই তড়িঘড়ি বৈঠক করে বন্দর শ্মশানঘাট ও খরমুজা ঘাটের ওভারহেড রিজার্ভার থেকে দু’টি ফিলিং পয়েন্ট বের করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুরসভার ট্যাঙ্কারগুলিকে ওয়ার্ড ভিত্তিক দু’টি ভাগে ভাগ করে এই দুই জায়গায় নিয়ে রাখা হবে। এবং ওভারহেড রিজার্ভারের ফিলিং পয়েন্ট থেকে জল ট্যাঙ্কারগুলিতে ভরা হবে। জলের সঙ্কট অনুযায়ী এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একই সঙ্গে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতেও ওই ট্যাঙ্কারগুলি থেকে জল সরবরাহ করা হবে।
২০১৬ সালে রাজ্য সরকার মহকুমা শাসককে পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করে এবং সেই সময় বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২৩ কোটি টাকার ডিপিআর তৈরি হয়। কিন্তু সেই সময় ১১ কোটি টাকার ফিনান্সিয়াল অ্যাপ্রুভাল দিলেও টাকা দিতে পারেনি রাজ্য। যার ফলে সম্পূর্ণ প্রকল্পটি আম্রুত-২ প্রকল্পের অধীনে নতুন করে শুরু হয়েছে। এছাড়াও শহরকে চারটি জোনে ভাগ করে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের কাজ চলছে।