গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মার্চ মাসে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নেন শান্তি ছেত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে চার বছরের জন্য তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা ও বিতর্কের কারণে রাজ্যের অন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তিনিও রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে তাঁর ইস্তফা পেশ করেন। পরে ওই উপাচার্যদের সঙ্গে তাঁকেও তিন মাসের জন্য উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই মেয়াদই ৩১ মে শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পদাধিকারী বলেন, বিদায়ী উপাচার্যের অবসর গ্রহণেরও সময় হয়ে গিয়েছে। তিনি এক সময় জলপাইগুড়ির একটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন। ৬৫ বছর পর্যন্ত অধ্যাপক ও শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ থাকে। তবে উপাচার্যদের ক্ষেত্রে ৭০ বছর পর্যন্ত কেউ কাজ চালিয়ে যেতে পারেন বলে ওই আধিকারিক জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিদায়ী উপাচার্য সম্ভবত আজ, বৃহস্পতিবার মালদহ ছেড়ে চলে যাবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজে, বিভিন্ন বৈঠকের ক্ষেত্রে উপাচার্যের অনুমতি নেওয়াটাই রেওয়াজ। কিন্তু উপাচার্যের পদ শূন্য থাকলে সেই সমস্ত কাজে নিশ্চিতভাবেই বিঘ্ন ঘটবে। আমরা চাই দ্রুত গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ পূরণ করা হোক।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অধ্যাপিকা সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরবর্তীতে ওই পদে আসেন অধ্যাপিকা গোপা দত্ত। এরপরে যথাক্রমে অধ্যাপক অচিন্ত্য বিশ্বাস, অধ্যাপক গোপালচন্দ্র মিশ্র এবং অধ্যাপক স্বাগত সেন ওই পদে ছিলেন। পরবর্তীতে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এক প্রবীণ শিক্ষককে কিছুদিনের জন্য উপাচার্যের পদ সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর দায়িত্ব নেন শান্তি ছেত্রী। এখন উপাচার্যের শূন্য পদে বিদায়ী উপাচার্যকেই কাজ চালিয়ে যেতে বলা হবে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রবীণ শিক্ষককে আপাতত ওই পদ সামলানোর নির্দেশ দেওয়া হবে, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।