কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় কৃষি নির্ভর শিল্প, প্লাস্টিক কেমিক্যাল নির্ভর শিল্প, কাঠ নির্ভর শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং ফেব্রিকেশন শিল্প, টেক্সটাইল সহ বহু ধরনের শিল্প গড়ে তোলা হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট লেভেল মনিটরিং কমিটি ফর ইন্ডাস্ট্রিসের বৈঠকে ধাপে ধাপে এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শিল্পদ্যোগীরা যাতে শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে অনুমতি, নো অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রভৃতি সহজে পান, সেই সমস্ত বিষয় গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই কমিটির মাধ্যমে ১০৫টি ল্যান্ড মিউটেশন, কনভারশনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে মোট ৬৪টি বিদ্যুৎ সংযোগ, ১২টি ফ্যাক্টরি লাইসেন্স, ৩০টি ফায়ার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভূর্গভস্থ জল ব্যবহারের জন্য ১৭টি আবেদনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জেলার কোন মহকুমায় কী ধরনের চাষ বেশি হয়, সেটা দেখে নিয়ে সেখানে সেই কৃষিনির্ভর শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। ‘মিশন কৃষি আলো’র মাধ্যমে কৃষকদের সংগঠিত করা হচ্ছে। এগ্রিকালচারাল ইনফ্রাস্টাকচারাল ফান্ড প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা করা হচ্ছে। ন’টি কাস্টম হায়ারিং সেন্টার, সাতটি ওয়ারহাউস, তিনটি তেলের মিল, ন’টি কোল্ড স্টোরেজ, চারটি রাইস মিল ইত্যাদি গড়ে তোলা হচ্ছে। এর জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলার প্রাণী সম্পদ বিকাশের জন্যও পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, জেলার শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন হয়। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে সড়ক, রেল ও বিমান সংযোগের উপরে কাজ করা হচ্ছে। জেলার ব্লকগুলিতে জায়গা চিহ্নিত করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে জেলায় সাতটি হিমঘর গড়ে তোলা হবে। এমএসই ফেসিলিটেশন কাউন্সিলও গড়ে তোলায় ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন বলে জেলা প্রশাসনের দাবি। মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণের জন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আবেদন জানানো হয়। এদিন বিকেলে বৈঠক শেষে জেলাশাসক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, জেলায় গত প্রায় দুই-তিন বছরে এক হাজার ১৭টি শিল্প এন্টারপ্রাইজ গড়ে উঠেছে। এর জন্য মোট ২৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এতে সাত হাজার ৩০০ কর্মসংস্থান হয়েছে। কোচবিহার বিমানবন্দরের এরোড্রাম লাইসেন্স রিনিউয়াল হয়েছে। বিমানবন্দরের আশপাশের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু কাজ শুরু হয়েছে। ১ জুন থেকে সপ্তাহে সাতদিনই বিমান চলাচল শুরু করবে। এর জন্য স্লট দেওয়া হয়েছে। এর ফলে খুব সহজেই বিনিয়োগকারীরা কোচবিহারে আসতে পারবেন।