রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
তৃণমূল শাসিত গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ১০ বছরে আমূল বদলে গিয়েছে ভারত-বাংলাদেশের শেষ সীমানা বামনহাট-১ পঞ্চায়েতের চেহারা। বামনহাট হাইস্কুল, মহাকাল হাইস্কুল ছাড়াও ১৬টি প্রাইমারি স্কুলের মাঠ সংস্কার করে সীমানা প্রাচীর তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩টি সংসদের ১০টি মন্দির ও মসজিদের মাঠ সংস্কার করা হয়েছে গত পাঁচবছরে।
সন্ধ্যার পর জনবহুল এলাকা আলোকিত করার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্থানে মোট পাঁচটি হাইমাস্ট লাইটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এছাড়াও গ্রাম পঞ্চায়েতের থেকে মোট ১৪০টি সোলার লাইটযুক্ত পথবাতি দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় সব সংসদে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার কাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে। প্রতিটি সংসদে বানানো হয়েছে শ্মশান। শ্মশানের শেড নির্মাণ থেকে শুরু করে সেখানেও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তর লাউচাপড়া, দক্ষিণ লাউচাপড়া, পাথরসন, ফকিরটারি, হরিরপাঠ প্রাইমারি স্কুলে পানীয় জলের রিজার্ভার করে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত থেকে। পড়ুয়ারা স্কুলে জল পাচ্ছে। তথ্য দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বামনহাট অঞ্চল অফিস থেকে ধরলারপাঠ পর্যন্ত পাকা রাস্তা করা হয়েছে। বামনহাট রেল স্টেশন থেকে বামনহাট বাজার পর্যন্ত রাস্তা সহ আরও বেশকিছু রাস্তাও নির্মাণ হয়েছে। প্রধান বলেন, বাম জমানায় এই অঞ্চলে মাত্র দু’টি পাকা রাস্তা ছিল। কাঁচা রাস্তাই ছিল একমাত্র ভরসা। ছিল না পানীয় জল পরিষেবা, রাস্তায় জ্বলত না পথবাতি। গ্রামের কাঁচা রাস্তায় অটো, ট্রেকার, কৃষিপণ্য পরিবহণের জন্য ছোট গাড়ি, এমনকী অ্যাম্বুলেন্সও আসত না। গত ১০ বছরে এখানে তৃণমূল যা করেছে, তাতে গ্রামবাসীরা জোড়াফুলের প্রতীকেই ভরাসা রাখবেন। তবে সর্বত্র আমরা রাস্তার কাজ করতে পারিনি, এটা অস্বীকার করব না। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা না পাওয়ায় বেশকিছু রাস্তার কাজ আটকে আছে। পাথর বিছানো রাস্তাগুলি পাকা করা ও পিচ দিয়ে মোড়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। রাস্তাগুলির কাজ শেষ হলে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পরিষেবা চালু করার জন্য আমরা সবরকম প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। রাজ্যের রাস্তাশ্রী প্রকল্পে এলাকার জন্য তিনটি রাস্তা পেয়েছি আমরা।
বিরোধী বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, উন্নয়নের টাকা ঢুকেছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। একেএকে নেতা-মন্ত্রীরা জেলে ঢুকতেই এসব প্রমাণ হচ্ছে। কত টাকার কাজ হয়েছে, আর কত টাকা বিল হয়েছে সবই প্রকাশ্যে আসবে। পাকা রাস্তা, পানীয় জল সর্বত্র পৌঁছয়নি। আমরা মনে করি অবাধ ভোট হলে মানুষ ওদের জবাব দেবে।
দক্ষিণ লাউচাপড়ার বীরু বর্মন, ফকিরটারি মহম্মদ হুমায়ুন জানিয়েছেন, গত পাঁচবছরে গ্রামে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। তবে পানীয় জল, রাস্তার কাজ সর্বত্র হয়নি। বামনহাট-১ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মৃণালকুমার ভদ্র বলেন, মানুষ ঘরের দরজা খুললেই উন্নয়ন দেখতে পান। উন্নয়ন দেখেই ভোট হবে। বিজেপি বা বিরোধী দলের কোনও অস্তিত্ব নেই।