গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ময়নাগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, বাজার এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। এটা হয়ে গেলে জর্দা নদীর সংস্কারে হাত দেব আমরা। পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। প্রয়োজনে আমরা একটা টিম গঠন করব, যাঁরা এই নদীতে নজরদারি চালাবেন। আবর্জনা যেন নদীতে ফেলা না হয়, সেজন্য বোর্ড লাগানো হবে। এরপরও যাঁরা নদীতে আবর্জনা ফেলবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাগুড়ি জর্দা নদীর উপর নির্ভর করে বেঁচে রয়েছে বহু পরিবার। মৎস্যজীবীরা এই নদী থেকে মাছ ধরে তা বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু যেভাবে প্রতিনিয়ত প্লাস্টিক, থার্মোকলের মতো বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে নদীয়ালি মাছ আর এখানে পাওয়া যাবে না বলেই আশঙ্কা করছেন মৎস্য বিজ্ঞানীরা। জলপাইগুড়ি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের মৎস্য বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন, জর্দা নদী দূষিত হচ্ছে বলে খবর আমার কাছেও এসেছে। পরিবেশের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। দ্রুত নদী সংস্কার করা প্রয়োজন। জর্দা সেতু সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী রঞ্জন মুখোপাধ্যায়, পারিজাত দত্ত জানান, যে যেমন পারছে, নদীতে আবর্জনা ফেলছে। দ্রুত নদীর সংস্কার না হলে ভবিষ্যতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন শহরবাসী। সেই কারণে তাঁরা চাইছেন, জর্দা নদীর দ্রুত সংস্কার করা হোক।
অভিযোগ, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ভ্যানে করে হোক কিংবা টোটোতে করে আবর্জনা নিয়ে এসে নদীতে ফেলে দিচ্ছেন। প্রশাসন জর্দা নদীকে বাঁচাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক, সেই দাবি ক্রমশ জোরালো হতে শুরু করেছে।
ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক সুমিত সাহা বলেন, আমরাও চাইছি জর্দা নদীর সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি এই নদীর রক্ষণাবেক্ষণ করা। কিছু মানুষ নদীতে আবর্জনা ফেলছে। সেটা রোধ করতে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।