কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মা গর্ভেশ্বরী ও মা গর্তেশ্বরীর দু’টি মূর্তি কষ্টিপাথরের। মা গর্ভেশ্বরী মা দুর্গার আদি রূপ বলে মনে করা হয়। মা এখানে শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম ধারিণী। তাই ভক্তরা মা গর্ভেশ্বরীকে বছরের বিভিন্ন তিথিতে, দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী রূপে পুজো করেন এখানে। মন্দিরে যা উপাচার পালিত হয় সবই বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির নিয়মমতে। দ্বিহস্ত বিশিষ্ট মা গর্তেশ্বরী দেবীর গলায় বিচিত্র ভ্রমর যুক্ত মালা আছে। কথিত আছে মা গর্তেশ্বরী অরুণ নামে এক দৈত্যকে পরাস্ত করেছিলেন। ওই মালা থেকেই ভ্রমর বেরিয়ে ওই দৈত্যকে হুলে বিদ্ধ করে। অবশেষে বধ করেন ওই দৈত্যকে।
ত্রিস্রোতা মহাপীঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরিশ চন্দ্র রায়ের কথায়, এই মহাপীঠকে নিয়ে বহু কাহিনী, লোকশ্রুতি আছে। সেইসঙ্গে এই মহাপীঠ দীর্ঘ গণ আন্দোলনের সাক্ষী। প্রতিষ্ঠা কবে হয়েছিল তা অজানা। তবে অন্তত ৫০০ বছর আগেও এই স্থানেই মা গর্ভেশ্বরী ও মা গর্তেশ্বরী পূজিত হতেন। মন্দিরটির পুজোআচ্চা, খরচ চলত বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ি থেকেই। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সাল নাগাদ নাবালক রাজা প্রসন্নদেব রায়কতের অভিভাবক জগদিন্দ্রদেব রায়কত নাউতারি দেবোত্তর মৌজার জমির অংশ বিশেষ দেবস্থান ও অবশিষ্ট ৪৪৬ একর জমি দেবী গর্ভেশ্বরীর নামে দেবোত্তর করে দেন। কিন্তু, দেশভাগ সহ পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ জমি দখল হয়ে গিয়েছে। বাকি প্রায় ২৫ থেকে ২৬ বিঘা জমি এখনও মন্দির কমিটির হাতে আছে। ওই জমির মধ্যেই এখন মন্দির সহ মেলার মাঠ, পার্ক, একটি মুক্তমঞ্চ, অতিথিশালা, ভোজনালয় তৈরি হয়েছে। যার কিছুটা ভক্তদের দানের টাকায় ও বেশিরভাগ অংশই শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অর্থানুকূল্যে তৈরি হওয়া। অতিথিশালাটি তৈরি হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মনের সাংসদ কোটার টাকায়। মহাপীঠ কমিটির সভাপতি অন্নকান্ত দাস, সম্পাদক সুব্রত কুমার ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ ককেন চন্দ্র রায়, সারদাপ্রসাদ দাস বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হওয়ার পর দক্ষিণ বেরুবাড়ি অঞ্চল প্রথমে পূর্ব পাকিস্তানে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানচিত্রে চলে গিয়েছিল। কিন্তু, দক্ষিণ বেরুবাড়ির মানুষ ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই ভূমির দখল কাউকে নিতে দেয়নি। পরবর্তী সময় ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের চুক্তি হয়। তাতেই এই অঞ্চল ভারতের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়। ছবি: দিলীপ রায়