গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বালুরঘাট শহরের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা শুভঙ্কর রায় ওরফে সাহেব এই নৃত্য প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তাঁর হাত ধরেই ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রেনবো কালচারাল অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠা হয়। ধীরে ধীরে ওই প্রতিষ্ঠান বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা। খুদে শিশুদের টলিউড, বলিউড, লোকনৃত্য, ওয়েস্টার্ন, জিমন্যাস্টিকস, ফিটনেস, ক্রিয়েটিভ সহ নানা ধরনের আধুনিক নৃত্য শেখানো হচ্ছে। এছাড়াও ক্লাসিক্যাল, রবীন্দ্র, নজরুল সহ নানা নৃত্যও শেখানো হয়। বালুরঘাটের মহামায়া ক্লাব ও কচিকলা ক্লাবে এই নৃত্য শেখানো হয়। এমনকী বালুরঘাটের বাইরে পতিরামের পথসাথীতে এই প্রতিষ্ঠানের তরফে নাচ শেখানো হচ্ছে। সবমিলিয়ে শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে বর্তমানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে শুধু নাচ শেখান নয়, মাঝেমধ্যেই বাইরে থেকেও বিখ্যাত নৃত্য শিল্পীরা এসে ছেলেমেয়েদের নানাভাবে পারদর্শী করে তুলছেন। টিভি চ্যানেলের রিয়েলিটি শো’তে নৃত্য শিল্পীদের পাঠানোর জন্যও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। রেনবো কালচারাল অ্যাকাডেমির কর্ণধার শুধু নাচ শেখানোর কাজ করেন না, তিনি ১২ বছর ধরে বালুরঘাটের অন্যতম নাট্য প্রতিষ্ঠান ত্রিতীর্থের সাথেও যুক্ত। তিনি বালুরঘাটের শুভায়ন হোম ও নিবেদিতা হোমের আবাসিক শিশুদের বিনামূল্যে নাচ ও নাটক শেখাচ্ছেন। সাত বছর ধরে এই মানবিক কাজ করছেন সাহেব। আগামীতে আরও হোমকে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত করার ইচ্ছা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শুভঙ্কর রায় ওরফে সাহেব বলেন, ছোটবেলা থেকেই মিঠুন চক্রবর্তী ও সুপারস্টার গোবিন্দার নাচের ভক্ত ছিলাম। সেই থেকেই নিজে নিজে নাচ শিখতাম। পরবর্তীতে নাটক ও নৃত্য দু’টোই শিখতাম। এরপর বালুরঘাট ও বাইরের বিখ্যাত শিল্পীদের কাছে নাচ শিখেছি। বন্ধুদের পরামর্শে নিজেই এই প্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগ নিই। আজ সাত বছর ধরে এই সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠান নানা সময়ে বাইরে অনুষ্ঠান করতে যায়। সম্প্রতি আমাদের টিম বাংলাদেশে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানেও গিয়েছিল। আগামীতে সকলের আশীর্বাদে এই প্রতিষ্ঠানকে নাচ ও নাটকের অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এবিষয়ে বালুরঘাটের এক খুদে শিশুর মা নেহা পাণ্ডে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমার মেয়ে এই প্রতিষ্ঠানে নাচ শিখছে। এখানকার প্রশিক্ষক খুব যত্ন সহকারে নাচ শেখান। নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে আমার মেয়ে। এনিয়ে আমরা অভিভাবকরা খুব খুশি।
প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি অ্যাকাডেমির সাত বছর পূর্তি হিসেবে নাট্যমন্দিরে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহরের বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এছাড়াও কর্ণধারের উদ্যোগে দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এদিকে সম্প্রতি ভাষা দিবসে বাংলাদেশে গিয়েছিল এই টিম। বাংলাদেশের নানা জায়গায় ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন সাহেব ও তার টিম।