পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামতেই রিচাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমি হাজরা সহ অগণিত মানুষ। বাগডোগরা থেকে হুডখোলা জিপে রিচাকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। বাড়িতে যাওয়ার পথে সুভাষপল্লির হাতি মোড়ে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি রিচাকে সংবর্ধনা জানায়। বিকেল বাড়ি এসে রিচাকে শুভেচ্ছা জানান শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। ছ’মাস পর বাড়িতে ফিরে নিজের শহরের মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত রিচা বলেন, আমাকে আরও ভালো খেলার অনুপ্রেরণা জোগাবে এই ভালোবাসা।
বড় মেয়েকে নিয়ে রিচাকে আনতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে যান বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। মা স্বপ্নাদেবী বাড়িতেই ছিলেন। বেলা ১টা নাগাদ রিচা পৌঁছতেই সুভাষপল্লির ঘোষবাড়িতে জনজোয়ার আছড়ে পড়ে। সেই ভিড় ঠেলে মেয়েকে প্রদীপ ও ফুল দিয়ে বরণ করে, মিষ্টি খাইয়ে ঘরে তোলেন স্বপ্নাদেবী। বাড়িতে ঢুকেই রিচা বলেন, অনেকদিন পর বাড়িতে সকলের মাঝে এসে ভালো লাগছে। কতদিন পর মায়ের হাতের ঘরোয়া খাবার খাব।
স্বপ্নাদেবী মেয়ের জন্য ডাল, আলুভাজা, সব্জি, ফ্রায়েড রাইস, মুরগির মাংস, চাটনি রাঁধেন। কিন্তু, রিচা সব খেতে পারেননি। রিচা বলেন, আমি ডায়েটের মধ্যে রয়েছি। তাই প্রিয় খাবারগুলি চাইলেও খেতে পারব না। বিকালে রিচা তাঁর ছোটবেলার ক্লাব বাঘাযতীন কোচিং সেন্টারে যান। কলেজ মাঠে কচিকাচাদের অটোগ্রাফ দিয়ে তাঁদের উদ্বুদ্ধ করেন। প্রত্যেককে বলেন, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া সাফল্য পাওয়া যায় না।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মহিলাদের বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে যাওয়াটা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে রিচার। তিনি বলেন, এত কাছে গিয়েও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার আক্ষেপে রয়েছে। তবে ভেঙে পড়িনি। আগামীতে ভালো ফল করার জন্য আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। শিলিগুড়িতে ক্রিকেটের জন্য মাঠ না থাকার প্রসঙ্গে রিচা বলেন, যাঁরা কথা দিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চয় কথা রাখবেন। এতদিন যখন অপেক্ষা করা হল, তখন আর কিছুদিন না হয় অপেক্ষা করতে হবে। একটা মাঠ হলে শুধু মহিলা নয়, শিলিগুড়ি থেকে ছেলেদের ক্রিকেটেও সাফল্য আসবে। সামনে কোনও খেলা নেই। তবে বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতির জন্য ডাক এলেই চলে যেতে হবে। তাই বাবা-মা, পরিবারের সকলের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা, ঘোরাঘুরি করে ক’টাদিন নিজের শহরে কাটাতে চান রিচা।