গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক তথা বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, এদিন কার্যকারীনি সভায় দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে বুথস্তরে সংগঠন আরও মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছে দলীয় পর্যবেক্ষক।
উত্তরবঙ্গে বিজেপির খাস তালুকগুলির মধ্যে শিলিগুড়ি অন্যতম। এখানকার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র তাদের কব্জায়। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রটিও তাদের অধীনে। তা হলেও কয়েক মাস আগে সংগঠিত শিলিগুড়ি পুরসভা ও মহকুমা পরিষদের ভোটে তাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য মেলেনি। তাই লোকসভা ভোটের আগে দলীয় ভিত যাচাই করতে এদিন পদ্ম শিবির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে দলের বুথস্তরের হালহকিত জানতে চান রাজ্য পর্যবেক্ষক। দলের নেতারা জানান, এই সাংগঠনিক জেলায় বুথের সংখ্যা ৯৮৩টি। যারমধ্যে এখনও ১৮৩টি বুথে কমিটি গড়া যায়নি। এমন বুথের সংখ্যা ফাঁসিদেওয়া ব্লকে বেশি। এর বাইরে শিলিগুড়ি শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বহু বুথ কমিটি নিষ্ক্রিয়। সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীরা নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন না।
বৈঠকে এমন রিপোর্ট শোনার পর দলের নেতাদের বুথ কমিটি গঠন ও সক্রিয় করার নির্দেশ দেন বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক। বৈঠকে দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক ছাড়াও দলের রাজ্য সহ সভাপতি সঞ্জয় সিং, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, সংসদ সদস্য রাজু বিস্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর পদ্ম শিবিরের একাংশ জানান, দলের নব্য ও পুরনোদের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। যার প্রভাব বুথস্তরে পড়েছে। তাছাড়া গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে হাওয়ার জোরে সাফল্য এসেছে। এখন সেই হাওয়া অনেকটাই বিপরীতমুখী। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন প্রকল্পকে হাতিয়ার করে বুথস্তরে সংগঠন মজবুত করার সিদ্ধান্ত সভায় হয়েছে।