কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
তাঁদের যুক্তি, উত্তরবঙ্গের মোট চা উৎপাদনের প্রায় ৬৫ শতাংশই বর্তমানে ক্ষুদ্র চা বাগান থেকে হচ্ছে। আগামীর ভবিষ্যৎ ক্ষুদ্র চা বাগানগুলিই। কিন্তু, রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এখনও পর্যন্ত ক্ষুদ্র চা বাগানগুলির কনভার্শন সহ ক্ষুদ্র চা বাগানের জন্য কোনও সুসংহত নীতি গ্রহণ করেনি। যারজন্য ক্ষুদ্র চা বাগানগুলি বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধার বাইরে রয়েছে।
ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, চলতি মাসেই রাজ্য সরকার বাজেট পেশ করবে। তারআগে আমরা ক্ষুদ্র বাগানগুলির আরও প্রসারে রাজ্যের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজার কাছে এ ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছি। আমরা চাই, চা চাষের প্রসারে ক্ষুদ্র বাগানগুলির জমির কনভার্শন করুক। সেই সঙ্গে চায়ের প্রসারে ফসল বিমা, সরকারি স্বীকৃতি, ইনসেন্টিভের সুবিধা দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। ক্ষুদ্র চা বাগান নিয়ে সুসংহত নীতি প্রণয়ন হলে শুধু রাজ্যের চা চাষের প্রসারই নয়, ক্ষুদ্র বাগানগুলি থেকে রাজ্যের বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে বলে মনে করি।
বিজয়গোপালবাবু আরও বলেন, এবার কেন্দ্রীয় বাজেটে চা নিয়ে কোনও ঘোষণা ছিল না। যাতে আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা চাই, রাজ্য আরও বেশি করে আমাদের পাশে দাঁড়াক। বছর তিনেক আগে চা পর্ষদের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, জেলায় প্রায় ৩৭ হাজার ক্ষুদ্র চা চাষি চিহ্নিত হয়েছেন। যার সিংহভাগ বাগানের জমির কনভার্শন হয়নি। যারজন্য কোনও ক্ষুদ্র চা চাষি প্রয়োজনে ব্যাঙ্ক থেকে কোনও ঋণ পান না। চাষি হিসেবে কৃষি সম্পর্কিত কোনও সুবিধাও পান না।
তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, বটলিফ ফ্যাক্টরিতে বিনিয়োগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ক্ষুদ্র চা বাগানে ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। আসন্ন বাজেটে আমাদের দাবি খতিয়ে দেখলে রাজ্যেরও কর আদায় বাড়বে।
প্রসঙ্গত, বাম আমলেও ক্ষুদ্র চা চাষিদের এ ব্যাপারে দাবি ছিল। বছর ২০ আগে মাত্র হাজার খানেক বাগানের কনভার্শন হয়েছিল। তারপরও বহু বাগান তৈরি হয়েছে, যেগুলির জমির চরিত্র বদল হয়নি। একই মত পোষণ করেন উত্তর দিনাজপুরের ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস পাল। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র চা বাগানের জমির চরিত্র বদল না হওয়ার ফলে ক্ষুদ্র চা চাষিরা যেমন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, একইভাবে রাজ্য সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রাজ্য বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করুক।