কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলার একাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অব্যবস্থা
নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। রায়গঞ্জ ব্লকের কেন্দ্রগুলি নিয়ে বিডিওর কাছে বেশকিছু অভিযোগ নানা সময়ে জমা পড়েছে। গত শুক্রবার ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল। সরেজমিনে ওই
গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কেন্দ্রগুলি খতিয়ে দেখেন। যা দেখে
রীতিমতো চমকে যান বিডিও। কেন্দ্রগুলির চরম অব্যবস্থা দেখে তিনি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিডিও পরিদর্শনে প্রথমে বিন্দোলের পরিয়ারপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান ঘড়িতে সকাল ১০টা রেজে গেলেও রান্না বসানো হয়নি। ওই সময় মাত্র তিন জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত। এছাড়া ওই এলাকার বেশ কয়েকজন প্রসূতির সেখানে খাবার নিতে আসার কথা। কিন্তু রান্না কেন বসানো হয়নি? বিডিওর এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি ওই সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। তাঁদেরকে রীতিমতো সতর্ক করে প্রতিদিন সময়মতো রান্না করতে বলেন বিডিও।
এখানেই শেষ নয়। এরপর তিনি বিন্দোলের তেলিপুকুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়েও চরম অব্যবস্থা তাঁর চোখে পড়ে। তিনি দেখেন ওই সেন্টারের যত জন শিশু, ছাত্র এবং গর্ভবতী ও প্রসূতিদের সংখ্যার সঙ্গে রান্নার পরিমাণের বিস্তর ফারাক রয়েছে। যা দেখে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিডিও জানান, এধরনের কোনও অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। বিষয়টি তিনি সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রকল্প আধিকারিককে জানান।
এমনকী বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুর আইসিডিএস সেন্টার পরিদর্শনে গিয়েও তিনি একই চিত্র দেখতে পান। পরিদর্শনে গিয়ে বিডিও দেখতে পান সেন্টারটি সকাল থেকে খোলাই হয়নি। এ কথা তিনি রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন। রায়গঞ্জের বিডিও বলেন, পরিদর্শনে গিয়ে আমরা বেশকিছু অসঙ্গতি পেয়েছি। সেগুলি চিঠি দিয়ে জেলা স্তরে জানানো হয়েছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন অনেক দিনের। বেশ কয়েকবার এনিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভও দেখান হয়। রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে বেশকিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের কর্মীদের এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না হয়।