পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বালুরঘাট সদর ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) সোমনাথ ঝাঁ বলেন, ১৪ জন জখম যাত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চালকের কানে হেডফোন ও হাতে মোবাইল ছিল বলে যাত্রীদের তরফে অভিযোগ এসেছে। সেইসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও অনেক নাইট সার্ভিস বাসের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে সমস্যা রয়েছে বলে খবর পেয়েছি। আরটিও অফিসের সাথে কথা বলে সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক সন্দীপ সাহা বলেন, অনেক নাইট সার্ভিস বাসের কাগজপত্রে সমস্যা রয়েছে। সেসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে পুলিসের সাথে যৌথ অভিযান চালানো হবে। বালুরঘাট নাইট বাস ওনারর্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক গোপাল কুণ্ডু বলেন, যাত্রী এবং নিজেদের সুরক্ষার জন্য বারবার আমরা বাসের মালিকদের সতর্ক করছি। এবিষয়ে আমরা প্রশাসনকে সাহায্য করব।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের এক যাত্রী মন্টু বর্মন বলেন, ওই বাসের চালকের কানে হেড ফোন ছিল এবং এক হাতে মোবাইল ছিল। ওই চালককে অনেকেই সাবধান করছিলেন। কিন্তু তিনি শোনেনি। যার ফলে কুয়াশায় দেখতে না পেয়ে লরির পিছনে ধাক্কা মারেন।
জানা গিয়েছে, বাসটি শিলিগুড়ি থেকে বালুরঘাটে ঢুকছিল। সেসময় পতিরামের বাউলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লরিতে সজোরে ধাক্কা মারে। খবর পেয়ে পতিরাম থানার পুলিস জখম যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে দুর্ঘটনার পরেই গাড়ির চালক ও কন্ডাকটর ঘটনাস্থল থেকে পালায়। এদিকে হাসপাতালে এক শিশু সহ ১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।
বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত্রীকালীন প্রায় ৫০টির বেশি বাস কলকাতা, শিলিগুড়ি, কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যায়। এদিকে জেলায় তেমন ট্রেন না থাকায় একমাত্র ভরসা বাস। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই বাসগুলির সঠিক কাগজ না থাকলেও পথে নামানো হচ্ছে। আর এভাবে সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি তো বটেই, ওই বাসগুলি বেপরোয়া ভাবে চলায় প্রাণ হাতে নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের।