কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই পুজো ও মেলা এবার ১৩৭তম বর্ষে পা দিয়েছে। চোপড়া ব্লকের পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর মেলা প্রেমীরা এখানে আসে। সংলগ্ন বিহার থেকেও অনেকে আসে। মেলাতে আসা মানুষজন মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরে। কেউ মাছ কিনে মেলাতেই খেতে চাইলে সে ব্যবস্থাও আছে। রান্না করার সরঞ্জাম ও মশলাপতি নিয়ে অনেকেই বসে থাকেন। তাঁরা সামান্য টাকার বিনিময়ে মাছ ভাজা কিংবা তরকারি রান্না করে দেন। মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ১২০ কেজি ওজনের শংকর মাছ, ১১৫ কেজি ওজনের বাগার মাছ ছিল উল্লেখযোগ্য। চিতল ১৪০০-১৫০০ টাকা প্রতি কেজি, ইলিশ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা প্রতি কেজি দামে বিক্রি হয়েছে। শংকর মাছ ৫০০ টাকা, বাগার ৬০০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হয়েছে। রুই ও কাতল বাজারের স্বাভাবিক দামেই বিক্রি হয়েছে। চোপড়া, ইসলামপুর ও বিধাননগর এলাকা থেকে প্রায় ১০০ মাছ ব্যবসায়ীরা এদিনের মেলায় মাছ নিয়ে এসেছিলেন। এই মেলায় মাছের পাশাপাশি মাংসও পাওয়া যায়।
মন্দির কমিটির অন্যতম সদস্য কমলেশ চন্দ্র সিংহ বলেন, অন্যন্য বছরের তুলনায় এবার মানুষের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। সাধুসন্তরা কয়েকদিন আগে থেকেই আসতে শুরু করেছেন। এদিন ভোর থেকেই বহু মানুষ পুণ্যস্নান করেছে। বাসিন্দারা বলেন, আগে এখানে এক মাস ব্যাপী মেলা চলত তবে বর্তমানে একদিনের জন্য মেলা বসে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকানিরা আসে। বাড়ির কাজের ব্যবহারের জিনিসপত্র, খেলানা, সাজার জিনিস থেকে শুরু করে হরেক রকম সামগ্রী এই মেলায় পাওয়া যায়। গত দুই বছর করোনার জেরে মেলা তেমন হয়নি। এবার বহু মানুষের সমাগম হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র।