গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত ১০ অক্টোবর বেঙ্গল সাফারিতে এক বৈঠকের পর রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের ইকো সেন্সেটিভ জোন তৈরির নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি অভায়ারণ্যে শূন্য থেকে ১০ কিমি এলাকায় এই জোন তৈরি করতে হবে। তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার মধ্যে কোনও বসতি, দোকান বাজার থাকবে না। রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও এই সমস্যা হবে। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন জানাব। যাতে আলোচনার মাধ্যমে একটা সমঝোতায় পৌঁছনো যায়। সেই আবেদন জানার জন্য একটা রিপোর্ট তৈরি করা হবে। বনাধিকারিকরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বসে সেই রিপোর্ট তৈরি করবেন। সকলের স্বার্থরক্ষার জন্য কোথায় কীভাবে কতটা জায়গা ছাড়া যায় তা রিপোর্টে থাকবে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বনমন্ত্রীর নির্দেশমতো এদিন বেঙ্গল সাফারিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকটি হয়। যদিও কোনও বনাধিকারিক, শিলিগুড়ির মেয়র, এসজেডিএ চেয়ারম্যান সরাসরি তা স্বীকার করেননি। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিষয়। এ নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। এসজেডিএ চেয়ারম্যান বলেন, এসজেডিএর অনেক এলাকা বনদপ্তরের অধীনে রয়েছে। সেসব এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইকো সেন্সেটিভ জোন নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাজেন্দ্র জাখর বলেন, এদিনের বৈঠকে মূলত বেঙ্গল সাফারি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পার্ক, উদ্যানকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই উন্নয়নের কাজে এসজেডিএ এবং শিলিগুড়ি পুরসভার কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সেই কারণেই তাদের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ইকো সেন্সেটিভ জোন নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনও এ ব্যাপারে বলার মতো জায়গায় পৌঁছনো যায়নি। বেঙ্গল সাফারির উন্নয়নের প্রসঙ্গে রাজেন্দ্র জাফর ও গৌতম দেব বলেন, এখানে এখন একটি গণ্ডার রয়েছে। সে একাকীত্ব বোধ করছে। তার সঙ্গী আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সম্বর হরিণ সহ আরও বেশকিছু জীবজন্তু এই সাফারিতে আনা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে বনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বেঙ্গল সাফারিতে পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানা তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাতে সিংহ, জিরাফ, জেব্রা সহ অন্যান্য জীবজন্তু আনা হবে। এদিন গৌতম দেব বলেন, বেঙ্গল সাফারির প্রধান গেটের পাশেই কর্মতীর্থ তৈরি হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রির জন্য ১৫-১৬টি স্টল থাকবে। যা বেকারদের স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাবে।
নিজস্ব চিত্র