গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এমনিতেই কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বিব্রত দল। দিন কয়েক পরে মাথাভাঙাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। তা নিয়েই চরম ব্যস্ত দলের নেতা-কর্মীরা। সেই আবহেও তৃণমূলের অভ্যন্তরে গোষ্ঠীকোন্দল কিছুতেই যেন থামছে না। এদিনের ঘটনায় তা আবারও প্রমাণিত হয়। যদিও গিরীনবাবুর বক্তব্য, ওটা বিক্ষোভ নয়, অভিযোগ।
এদিন সকাল ১১ টায় কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন মোরঙ্গা বাজার দুর্গা মন্দিরে পুজো দিয়ে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির সূচনা করেন। তার সঙ্গে ছিলেন মাথাভাঙা-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপ্তি রায় তরফদার, ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধনঞ্জয় অধিকারী, ফুলবাড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিনয় বর্মন সহ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। পরে মোরঙ্গা বাজার পার্টি অফিসের সামনে যেতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন জেলা চেয়ারম্যান গিরীনবাবু। বিক্ষোভের জেরে সাময়িক উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে। দলেরই অঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজিত বিশ্বাস ও সহ সভাপতি সুজয় বর্মন তাদের অনুগামীদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, অঞ্চল সভাপতি বিনয় বর্মন অন্যান্য নেতৃত্বকে কোনও গুরুত্বই দেন না। নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করছেন। তাঁরা অঞ্চল সভাপতির পরিবর্তনের দাবি তোলেন। সেই অভিযোগ শুনে গিরীনবাবু সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এর পর ক্ষেতি উচ্চ বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। নবগঞ্জ বাজার, ফুলবাড়ি, শিঙ্গেরবাড়িতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভ প্রসঙ্গে গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, মানুষের সমস্যা শোনার জন্যই এই কর্মসূচি। দলীয় কর্মীদের একাংশ অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে তাঁদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। আমি শুনেছি। গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই। দলের যে কাউকে যে পদেই থাকুক, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা মানতে হবে। যারা মানবে না, দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।