বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জ থেকে একটি বেসরকারি যাত্রী বোঝাই বাস শিলিগুড়ি অভিমুখে যাচ্ছিল। সেই সময় পানিশালায় ওই টোল প্লাজায় বাসটি থেকে ট্যাক্স দাবি করেন কর্তব্যরত কর্মীরা। কিন্তু বাস চালক তা দিতে অস্বীকার করেন। তিনি জানান, এখান থেকে যে টোল নেওয়া চালু হয়েছে, সেব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনও খবর নেই। তড়িঘড়ি মালিকপক্ষকে মোবাইলে বিষয়টি জানান ওই বাস চালক। এরপরে বাস মালিকেরা সদলবলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। সেসময় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা বেসরকারি বাস ও মিনিবাস ওনারর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক বলেন, কাউকে কিছু না জানিয়েই টোল নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ফোর লেনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। কোন যুক্তিতে ট্যাক্স নেওয়া চালু হল, আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। তাছাড়া ছোট রুটের বাসের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ টাকা ধার্য করা হয়েছে, তা অত্যন্ত বেশি। এই টোল ট্যাক্স প্রদান করলে ক্ষতির মুখে পড়বেন বাস মালিকেরা। লোকাল ও ছোট রুটের গাড়ির ক্ষেত্রে টোল ট্যাক্স কমনোর ক্ষেত্রে আমরা জেলাশাসককে বলেছিলাম। জেলাশাসক ও পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়েই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আচমকাই টোল ট্যাক্স চালু করে দিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার থেকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য গাড়ি চালানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও এব্যাপারে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার মালদা ডিভিশনের বাস্তুকার সাদাব আলম বলেন, সরকারের গাইডলাইন মেনেই টোল চালু হয়েছে। এব্যাপারে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে। বাস মালিকদের এব্যাপারে সহযোগিতা করা উচিত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আশা করি তাঁরা বিষয়টি মিটিয়ে নেবেন।