কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবারের রাসমেলা চলাকালীনই কোচবিহার পুরসভা গত বছরের মেলার বকেয়া আট লক্ষ মিটিয়েছে। পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবারের রাসমেলা বাবদ যে টাকা বিভিন্ন জায়গায় এখনও বকেয়া রয়েছে, তাও খুব দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে। পুরসভা এখন রাসমেলা সংক্রান্ত চূড়ান্ত হিসেব নিকাশ চালাচ্ছে।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বুধবার বলেন, এবার রাসমেলা থেকে আমাদের রেকর্ড পরিমাণ আয় হয়েছে। প্রাথমিক হিসেব কষে দেখেছি, আয়ের পরিমাণ এক কোটি টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট কত টাকা আয় হল তার চূড়ান্ত হিসেব এখনও শেষ হয়নি। রাসমেলা উপলক্ষে পুরসভার বিপুল টাকাও খরচ হয়েছে। তবে এটা বলতেই হয়, গতবারের বকেয়া টাকা মেটানো হয়ে গিয়েছে। সবদিকের খরচ মেটানোর পর আশা করছি রাসমেলা থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা পুরসভার কোষাগারে ঢুকবে।
কোচবিহারের রাসমেলায় এবার এক হাজারেরও বেশি দোকান বসেছিল। সার্কাস, নাগরদোলা, বিভিন্ন ধরনের রাইড এসেছিল। তাঁদের কাছ থেকে পুরসভা মোটা টাকা পেয়েছে। যাঁরা স্টল দিয়েছিলেন, তাঁদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করেছে পুরসভা। এমনকী যাঁরা মাটিতে বসে ব্যবসা করেছেন, তাঁদের কাছ থেকেও পুরসভা প্রতিদিনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করেছে। সেসব টাকা মিলিয়ে পুরসভার ওই বিপুল অর্থ আদায় হয়েছে। কিন্তু শুধু আয় নয়, রাসমেলা পরিচালনা করতে পুরসভার খরচও কম নয়। মুম্বই, কলকাতা থেকে শিল্পী নিয়ে এসে অনুষ্ঠান করা সহ মেলা পরিচালনায় নানা খাতে খরচ করতে হয়েছে পুরসভাকে। এছাড়াও এবারের রাসমেলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে মেলার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। তা দিয়ে বানানো হবে তথ্যচিত্র। সেসব খরচ বাদ দিয়ে এবার রাসমেলা থেকে পুরসভার আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা আয় হবে বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি।
রাসমেলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইউনেস্কোর হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলা নিয়ে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকও করবে পুরসভা। আজ, ১ ডিসেম্বর সেই ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা। পুরসভা সেই বৈঠকে রাসমেলাকে সঠিকভাবে তুলে ধরতেও সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
দু’বছরের করোনাকাল কাটিয়ে গত ৮ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলা রাসমেলা অন্যমাত্রা পেয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল মেলায়। আশপাশের জেলা সহ ভিনরাজ্য এমনকী বিদেশ থেকেও দর্শনার্থীরা এসেছিলেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ রাসমেলার স্টল থেকে কেনাকাটা করেছেন, বিভিন্ন ধরনের খাবারও খেয়েছেন।
পুরসভা আগেই দাবি করেছিল, এবারের রাসমেলায় সার্বিকভাবে প্রায় ২০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয়েছে। এমনকী ২৭ নভেম্বর রাসমেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রাসমেলা চত্বরে বহু মানুষকে কেনাকাটা করতে দেখা গিয়েছে। ফাইল চিত্র