পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসের অ্যাডমিশন বিভাগ দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছে দু’জন বিচারাধীন বন্দি। অথচ ওই কাজ দু’জন রাজ্য সরকারি কর্মীর করার কথা। কিন্তু কর্মী না থাকায় শিক্ষিত বিচারাধীন বন্দিদের দিয়ে সেই কাজ সামলাতে হচ্ছে। জেলা সংশোধনাগারের এস্টাব্লিশমেন্ট বিভাগেও কোনও সরকারি কর্মী নেই। ফলে এই বিভাগের যাবতীয় কাজকর্মও সামলাচ্ছে আরেক বিচারাধীন বন্দি। কর্মী নেই সংশোধনাগারের অর্থ বিভাগেও। অর্থ বিভাগের সমস্ত দায় দায়িত্ব একাই সামলে দিচ্ছে আর এক বিচারাধীন বন্দি।
সংশোধনাগারে এই মুহূর্তে ঠিক কতজন আবাসিক রয়েছে, তাদের মধ্যে কারা কবে এসেছে, কাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে, নতুন আবাসিক কতজন আসবে, এই সমস্ত তথ্য কারা বিভাগের সরকারি পোর্টালে তুলে ধরার জন্য একজন ডেটা এন্ট্রি কর্মী প্রয়োজন। সরকারি সমস্ত দপ্তরেই ডেটা এন্ট্রির জন্য এক বা একাধিক কর্মী থাকে। কিন্তু রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারের অন্যান্য বিভাগের মতো ডেটা এন্ট্রি বিভাগে কোনও কর্মী নেই। অগত্যা যাবতীয় কাজ কর্ম সামলাচ্ছে একজন বিচারাধীন বন্দি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই পাঁচ জন কর্মীর মধ্যে দু’জন খুনের মামলায় অভিযুক্ত। বাকি তিনজন এনডিপিএস এবং পকসো ও বধূ নির্যাতনে অভিযুক্ত। তারা প্রত্যেকেই বিচারাধীন বন্দি। জেলা সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় থেকেই এখানে কর্মী সঙ্কট শুরু হয়। আগে যারা দায়িত্বে ছিল, তাদের মধ্যে অনেকেই অবসর গ্রহণ করেছে। কেউ আবার অন্য সংশোধনাগারে বদলি হয়েছে। কর্মীর অভাবে সংশোধনাগারের অফিসিয়াল কাজকর্ম চালিয়ে যেতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় আধিকারিকদের। সেই সময় সরকারি নিয়ম মেনেই বিচারাধীন আবাসিকদের মধ্যে যাঁরা নিজেদের কাজকর্মের জন্য সুনাম অর্জন করেছে এমন পাঁচজনকে বেছে নেওয়া হয়। সামান্য প্রশিক্ষণ দিয়েই তাদের কাজে লাগানো হয়েছে।