কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ধাপড়াহাট বাজারের মাছ, মাংসের বাজার নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। দুর্গন্ধের জন্য ওদিকে তাই বেশিক্ষণ থাকা যায় না। ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে বাজারের বর্জ্য সাফাইয়ের দাবি জানালেও তা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি নিয়মিত ট্যাক্স আদায় করলেও বাজারের উন্নয়নে কোনও কাজ করছে না। বাজারের নালাগুলি বর্জ্যে ভরে আছে, শৌচাগারও দীর্ঘদিন ধরে নোংরা।
কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান জয়শ্রী রায় বলেন, আমরা বিডিও’র মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিকে বাজারের বেহাল অবস্থার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু, বারবার জানানোর পরও এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বর্ষার সময়ে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। শুখা মরশুমে গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। এছাড়ায় বর্ষাকালে গোটা বাজার জলকাদায় ভরে যায়।
মেখলিগঞ্জের মহকুমা শাসক রামকুমার তামাং বলেন, কুচলিবাড়ি বাজারের বেহাল অবস্থার কথা শুনেছি। কয়েক বছর আগে বাজারে একটি শেড তৈরি করা হয়েছিল। বাজার এলাকায় রাস্তার ধারের বেহাল ড্রেন নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। নিয়মিত সাফাইয়ের ব্যাপারে উপর মহলে কথা বলা হবে। আশা করছি, ওই সমস্যা মিটে যাবে।
মেখলিগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরে ধাপড়াহাট বাজার। বাজারটি পাশ্ববর্তী দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দার একমাত্র বাজার। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় থেকে শুরু করে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল এই বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। সাপ্তাহিক হাটবারে অস্থায়ী ভাবে কয়েকশো দোকানপাট বসে। কিন্তু, বাজারের পরিকাঠামোর কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, বাজারের যত্রতত্র বর্জ্যে জমে থাকছে। গলিপথ ও বাজারের মূল রাস্তার ধারে নালা না থাকায় বর্ষার সময় গোটা বাজার জলকাদায় ভরে থাকে। এককথায় চরম অব্যবস্থার মধ্যে ব্যবসা করতে হচ্ছে দোকানদারদের।
ধাপড়াহাট বাজারের ব্যবসায়ী সন্তোষ রায়, দিলীপ দাস, পঞ্চা দাস প্রমুখ বলেন, নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি নিয়মিত ট্যাক্স আদায় করে। কিন্তু, আজ পর্যন্ত বাজারের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ করেনি। মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কথা বলা হলেও তা হয়নি। নিয়মিত বাজার এলাকা সাফাইও করা হয় না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে আমাদের ব্যবসা করতে হচ্ছে। মাছ, মাংস বাজারের দিকে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত কোনও স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।