বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলা নিয়ে এই জনসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা ও যুব সংগঠন। আর ওই মঞ্চ থেকেই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নি ঘোষ বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন। মিঠু চক্রবর্তীকেও একহাত নেন। প্রসঙ্গত, এদিনই আসানসোলে বিজেপির এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, তৃণমূলকে হারাতে সবাইকে মহাযোচ করতে হবে।
জনসভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শশী পাঁজা বলেন সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, মিঠুন চক্রবর্তী সিবিআই আর ইডির চাপেই দলত্যাগ করেছেন। সেই চাপেই বিজেপির নির্দেশ মতো তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলছেন। আসলে সারা দেশে বিজেপির ভালো পরিস্থিতি নেই। বাংলাতে তো কিছুই নেই। তিনি যে জোটের কথা বলছেন, সেটা অশুভ আঁতাত। আর বাংলার মানুষ এই আতাঁতের জবাব খুব ভালো দিতে পারে।
শশী পাঁজার পাশাপাশি সায়নি ঘোষও এদিন তাঁর বক্তৃতায় মিঠুন চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, মিঠুনদা আপনি যতই জাত গোখরো হন, বাংলার প্রতিটি বাড়িতে মহিলারা কার্বোলিক অ্যাসিড তৈরি রেখেছে। আগে আপনি নকশাল ছিলেন। পরে জ্যোতি বসু আপনার আঙ্কল হন। তারপর মমতাদিদি হলেন আপনার ছোটবোন। আর এখন নরেন্দ্র মোদি আপনার বাবা। তৃণমূলের দুধকলা খেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কামড়াতে যাচ্ছেন, আর আপনার এই নাটক দেখে বাংলার মানুষ হাসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আপনাকে রাজ্য সভার সাংসদ করেছিলেন। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে ভাববেন। এদিনের জনসভায় তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের চার জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি প্রচুর কর্মী সমর্থক এসেছিল। বাঘাযতীন পার্কের বাইরেও রাস্তায় অনেকদুর পর্যন্ত জনজোয়ার ছড়িয়ে পড়ে। জনসভায় বক্তব্য রাখেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় সহ আরও অনেকে।