পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আর ঘটনাটির জন্য কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি তৃণমূলের পার্থপ্রতিম রায়ের রাজনৈতিক দুরদর্শিতার অভাবেই এমনটা ঘটল বলে এদিন দাবি করছেন।
শুক্রবার রাতে তুফানগঞ্জের অন্দরান ফুলবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধরণীকান্ত বর্মন বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর সাথে উপপ্রধান জীতেন বর্মন, পঞ্চায়েত সদস্য মুক্তি দাস, সাবিত্রী রায় মন্ডল, পুস্পা সরকার সহ মোট পাঁচজন পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তুফানগঞ্জের বিজেপির বিধায়ক মালতী রাভা রায় এবং আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে অন্দরান-ফুলবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধরণীকান্ত বর্মন বলেন, ভেবেছিলাম তৃণমূলে গিয়ে উন্নয়নের কাজ করতে পারবো। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল। দেখলাম ওই দলে অপশাসন, গোষ্ঠী কোন্দল, শোষণ চলছে। তাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে ফের বিজেপিতে যোগ দিলাম। ওদের প্রতি আমার বার্তা হল, ওরা যেন বিরোধীদের সন্মান করে এবং দাদাগিরি না করে। করলে তার জবাব পেয়ে যাবে।
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, যে সময় ধরণীকান্ত বর্মন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের আসনে বসেন, তখন দলের জেলা সভাপতি পদে ছিলেন পার্থপ্রতিম রায়। তাঁর রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার জন্যই এই ঘটনা হয়েছে। তখন আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে প্রধানের আসনে বসানো উচিত ছিল। এমন একটি ঘটনার আশঙ্কা করে তখনই আমি আপত্তি করেছিলাম। কিন্তু শোনা হয়নি। যদিও এই বিষয়ে পার্থপ্রতিম রায় বলেন, আমি যখন জেলা সভাপতি ছিলাম তখন ধরণীকান্ত বর্মন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিল। আমি এখন নেই, উনি চলে গিয়েছেন। তার দায়ভার আমার উপর বর্তায় না। দুরদর্শিতা বা অন্য কিছু সেটা সময় বলবে। আমি ওনার কথার জবাবে কোন মন্তব্য করতে চাইনা। জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনের পর অন্দরান ফুলবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রাজকান্ত বর্মনকে জোর করে পদত্যাগ করিয়ে ধরণীকান্ত বর্মন প্রধানের চেয়ারে বসান হয়।