গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রের খবর, ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক। স্থানীয় বাসিন্দা লালমোহন রায় বলেন, আমরা যেটুকু জানতে পেরেছি ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে তার আত্মীয় এদিন সকালে চা খেতে ডাকে। সেই সময়ই সে হামলা চালায়। যে বাড়িতে চা খেতে গিয়েছিল, সেখানেই ছুরি পেয়ে যায়। এরপরেই সে একের পর এক হামলা চালায়। এক এক করে ন’জনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। বাদ যায়নি আত্মীয় পরিজনও। এছাড়া কুকুর ও ছাগলকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এমনকী স্থানীয় একটি খড়ের পুঞ্জিতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বাসিন্দারা সেই আগুন নেভান।
ছুরি আঘাতে জখম নূর হোসেন বলেন, বর্তমানে আমি জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত তইজুল আমার মামাতো ভাই। এদিন সকালে সে প্রথমে ছুরি দিয়ে আমার মামা, মামীকে দু’বার করে আঘাত করে। তাঁদের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে আমিও চিৎকার শুরু করি। সেই সময় সে দু’হাতে ছুরি নিয়ে তাণ্ডব করতে থাকে। একের পর একজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমি তার সামনে পড়ে গেলে আমাকেও আঘাত করে। পরে আমার প্রতিবেশী বাড়ির লোকজনদেরও সে কোপ মেরেছে। আসলে ও মানসিক ভারসাম্যহীন। বাড়ির বাইরে জমিতে পলিথিন দিয়ে ঘর বানিয়ে থাকে। এদিন সকালে কেন এমন ঘটনা ঘটাল, তা বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা ন’জন জখম হয়েছি। তারমধ্যে চার জন জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গা বলেন, অভিযুক্ত যুবককে এলাকার লোকজন আটকে রেখেছিল। তারও কিছু কিছু জায়গায় আঘাত রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার চিকিৎসা চলছে।