সামাজিক কল্যাণ কর্মে বিঘ্নের সম্ভাবনা। অফিসকর্মী/ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সাফল্য ও সুনাম। ... বিশদ
সোমবার সকালে এনজেপি স্টেশনে ভিস্তাডোম কোচে টয় ট্রেনের এই নতুন পরিষেবার যাত্রা শুরু করান উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্ত। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কাটিহারের ডিআরএম এস কে চৌধুরী, ডিএইচআরের ডিরেক্টর এ কে মিশ্র, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা প্রমুখ। এদিন ১২ জন যাত্রী সফর করেন।
এনজেপি থেকে সোম, বুধ ও শনিবার সকাল ১০টায় এই ভিস্তাডোম কোচযুক্ত ট্রয় ট্রেন ছেড়ে দার্জিলিং পৌঁছবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। দার্জিলিং থেকে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও রবিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছেড়ে এনজেপিতে পৌঁছবে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে। ভিস্তাডোম কোচে ভাড়া মাথাপিছু ১৫০০ টাকা। এতে ১৫টি আসন রয়েছে। এসি রেস্টুরেন্ট কোচে মাথাপিছু ভাড়া ১৩০০ টাকা। এখানে ৮টি আসন থাকছে। দু’টি কোচের ক্ষেত্রেই খাওয়ার খরচ আলাদা দিতে হবে।
চলতি মাসের শুরুতেই পাহাড়ে ধস নামায় টানা ১২ দিন এনজেপি-দার্জিলিংয়ের মধ্যে ট্রয় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। লাইন মেরামতির পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই পথে টয় ট্রেন চলাচল শুরু হলেও দু’দিনের মাথায় ফের ধস নামায় তিনধরিয়ার কাছে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টয় ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছিল ডিএইচআর। এদিন ভিস্তাডোম কোচে নতুন পরিষেবা চালুর মধ্য দিয়ে এই লাইন ফের সচল হল।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, এবার পুজো মরশুমে পাহাড়ে পর্যটকের ঢল নামবে। দার্জিলিংয়ে পুজোর ভ্রমণে টয় ট্রেনের জয় রাইডের চাহিদা বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন হোটেল, হোমস্টে যেভাবে বুকিং হয়ে গিয়েছে, তাতে আমাদের আশা এবার হেরিটেজ টয় ট্রেনের রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী হবে। সেকথা মাথায় রেখে আমরা এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত এই নতুন বিলাসবহুল পরিষেবা চালু করলাম। টয় ট্রেনের প্রতি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ, উৎসাহ যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের আশা এবার ভালো লাভের মুখ দেখতে পাওয়া যাবে।
জেনারেল ম্যানেজার বলেন, এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেনের প্রতিটি স্টেশনের উন্নতিকরণের ক্ষেত্রেও আমরা পদক্ষেপ করতে চলেছি। টয় ট্রেনের কামরার ভিতরের অংশ সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি যাত্রাপথও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হবে। যাতে টয় ট্রেনে ভ্রমণ পর্যটকদের কাছে আরও অনেক বেশি মনোরম ও স্মরণীয় করা যায়। কাচে ঘেরা ভিস্তাডোম কোচে পর্যটকরা আকাশ, চারদিকের জঙ্গল, নদী, পাহাড় দেখতে পাবেন। পাশাপাশি এই ট্রেনে রয়েছে একটি এসি রেস্টুরেন্ট। ফলে সেখানে বসে পছন্দমতো রকমারি খাবার খেতে খেতেও পর্যটকরা পাহাড়ের পাকদণ্ডী বেয়ে দার্জিলিংয়ের পৌঁছে যাবেন।