কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের এসিসি (পূর্ব) শুভেন্দর কুমার অবশ্য বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত সোমবার আশিঘর ফাঁড়ি এলাকার জমির কারবারি বিদ্যুৎ সাহা গুলিবিদ্ধ হন। সেই ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য এসেছে। পুলিস সূত্রের খবর, কয়েক দশক ধরে আশিঘরে বিশাল জমি পতিত। সেই জমির আয়তন ছ’বিঘার আশপাশে। তা কব্জা করে জমি মাফিয়ারা বিক্রির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই মাফিয়ারা একটি সিন্ডিকেটও তৈরি করে। তাতে শিলিগুড়ি শহর ও ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামীণ এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক রয়েছে। সেই জমি বিক্রির অর্থ কে কতটা থাকবে, কাস্টমার কীভাবে ধরা হবে, নথি তৈরির কমিশন কত হবে, এসব নিয়েই সিন্ডিকেটে বিরোধ দানা বাঁধে। সম্ভবত সেজন্যই বিদ্যুতের উপর হামলা করা হয়। সেই জমির সঙ্গে রয়েছে আসনসোলের যোগসূত্র। ইতিমধ্যে পুলিস আসানসোলের দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সম্ভবত বিদ্যুৎ জমির দালাল। সিন্ডিকেটের হয়ে সে কাস্টমার ধরে আনত। অর্থাৎ জমি কেনাবেচায় সে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করত। জমির নথিও জোগাড় করত সে। এর বিনিময়ে সে সিন্ডিকেট থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ পেত। সেই লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিবাদের জেরে সে সিন্ডিকেটের রোষের মুখে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। পুলিস অফিসাররা জানান, ওই জমি নিয়ে সিন্ডিকেটের বিরোধের বিষয়টি তদন্তে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি জমির বেআইনি কারবার সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য মিলেছে। সেগুলি যাচাই করা হচ্ছে।
স্বাধীনতা দিবসের রাতে নিজের বাড়িতেই বিদ্যুৎ সাহার উপর হামলা হয়। অভিযোগ, দু’জন ‘সুপারি কিলার’ তাঁকে গুলি করে চম্পট দেয়। এখনও পুলিস সেই ‘সুপারি কিলারদের’ নাগাল পায়নি। পুলিস অফিসাররা জানান, সেই শ্যুটারদের খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যে বিহারের কিষানগঞ্জ, ফুলবাড়ির বাংলাদেশ সীমান্ত, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর, ফাঁসিদেওয়া প্রভৃতি এলাকায় ওই শ্যুটারদের খোঁজ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ জমি কারবারি কিছুটা সুস্থ হয়েছেন। ঘটনার কিনারা করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া তথ্য তার সঙ্গে যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
শিলিগুড়ি শহরে জমির সিন্ডিকেট চক্রের দাপট ভক্তিনগর থানার আশিঘর ফাঁড়ি এলাকায় দীর্ঘদিনের। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পতিত বিতর্কিত এবং খাসজমি ঘিরে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেটরাজ। চয়নপাড়া, আশিঘর, ডাবগ্রাম, ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় এখনও পতিত জমি রয়েছে। অভিযোগ, বিতর্কিত জমির ভুয়ো মালিক এবং নথি তৈরি করা হচ্ছে। এরপর দালালদের মাধ্যমে বাইরের কাস্টমারের কাছে সেই জমি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আর খাসজমির চরিত্র বদল বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমন চক্রের ফাঁদে পড়ে অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন।