বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১৯ পর্যন্ত স্বাস্থ্যদপ্তর সহ পুরকর্তাদের কপালে ভাজ পড়েছিল রায়গঞ্জ শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে। উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, করোনা মহামারীর সময় গত দু’বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর সেই অর্থে পাওয়া যায়নি। ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে সবকিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গু। যদিও ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বছরের প্রথম থেকেই সবরকম প্রস্তুতি ধাপে ধাপে নিচ্ছে পুরসভা। পুরসভা জানিয়েছে, ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা মারতে নর্দমার ধার দিয়ে নির্দিষ্ট সময় পরপর ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। এদিন বিভিন্ন জলাশয়ে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় রায়গঞ্জ পুরসভার পক্ষ থেকে গাপ্পি মাছ ছাড়ার কর্মসূচির সূচনা হয়। ২৭টি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটররা নিজেদের এলাকায় গাপ্পি মাছের পোনা ছাড়েন।
রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা সবক’টি ওয়ার্ডেই গাপ্পি মাছ ছাড়ছি। একলক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে। মূলত শহরের বদ্ধ জলাশয় ও নর্দমায় এদিন মাছ ছাড়া হয়। জেলা মৎস্য দপ্তরের সহযোগিতায় মাছ পেয়েছি। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে গাপ্পি মাছ নির্দিষ্ট জায়গায় ছাড়া হচ্ছে। পুরবাসীর কাছে আমাদের আবেদন থাকবে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ও থার্মোকলমুক্ত রাখুন শহরকে। নর্দমার গতিপথ ঠিক রাখলে মশা বংশবিস্তার করতে পারবে না।
শহরের অধিকাংশ নর্দমা মূলত বাজার এলাকার নালাগুলি প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ও থার্মোকল দিয়ে ভর্তি থাকে। এতে ওসব নালার গতিপথ আটকে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই জমা জলে মশা ডিম পাড়ে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে কোনও ডেঙ্গু রোগী ভর্তি নেই। তবে জ্বর নিয়ে অনেকেই ভর্তি আছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘরে ঘরে মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। সেই জ্বর থেকেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে লোকজনের মধ্যে। উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ পুরণ শর্মা বলেন, জেলায় এ বছর এখনও পর্যন্ত ৫২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই মরশুমে এটা স্বাভাবিক প্রবণতা। দু’বছর কোভিড পরিস্থিতি চলাকালীন ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর সেভাবে পাওয়া যায়নি। কিন্তু, অন্যান্য জেলাতেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমাদের জেলায় পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক বলাই যায়। নিজস্ব চিত্র