কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
হবিবপুরের শ্রীরামপুর এলাকার চাষি সুখেন বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টির অভাবে ধান চাষ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি। কিছুদিন আগেই ধান রোপণের কাজ শেষ করেছি। কিন্তু, এখন জলসেচ দিতে পারছি না। জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির খুবই দরকার।
মালদহ জেলা কৃষিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সৌমেন্দ্রনাথ দাস বলেন, জেলাজুড়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ বেশি আমন ধান রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে বৃষ্টির ঘাটতি থাকলেও কৃষকদের খুব একটা লোকসান হবে না। কেননা মাঝেমধ্যেই জেলার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বরিন্দ ব্লক। গাজোল, বামনগোলা, হবিবপুরের মতো ব্লকে কিছু জমিতে ধান রোপণের কাজ বাকি এখন। বৃষ্টি হলে সেগুলিতে ধান রোপণ করা যাবে। কৃষিদপ্তরের আবহাওয়া বিভাগের আধিকারিক কামাখ্যানাথ বসু বলেন, বৃষ্টির মরশুম এখনও শেষ হয়ে যায়নি। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জেলায় যে বৃষ্টির ঘাটতি চলছে তা অস্বীকার করার নয়। এ বছর স্বাভাবিকের চাইতে অনেকটাই কম বৃষ্টি হয়েছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১ লক্ষ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে জেলায় ধান চাষ হয়। তবে এ বছর বৃষ্টির ঘাটতির জেরে ধান রোপণে কাজে অনেকটাই বাধা পাচ্ছেন চাষিরা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধান বোনার কাজ শেষ হয়েছে। বরিন্দ এলাকায় জলস্তর সমস্যার জেরে গাজোল, হবিবপুর, বামনগোলা, পুরাতন মালদহ এই চার ব্লকে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে এখনও ধান রোপণের কাজ শেষ হয়নি। এছাড়াও চাঁচলের হরিশচন্দ্রপুর সহ অন্যান্য এলাকা মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হেক্টর জমিতে রোপণের কাজ হয়নি। কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, জুন মাসের ১ তারিখ থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়া দরকার ছিল ৭৬৪.৩ মিলিমিটার। সেই জায়গাতে মাত্র ২৬৪.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার নিরিখে মালদহে এখনও প্রচুর বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে।