পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার দুপুরে কোচবিহার শহরের দেশবন্ধু মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সাংগঠন আইএনটিটিইউসি’র জেলা কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন রাজ্য তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, হিতেন বর্মন, অভিজিৎ দে ভৌমিক, গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, পরিমল বর্মন সহ বেশ কয়েকজন নেতা। এক সময় উত্তরবঙ্গের তৎকালীন ছয় জেলা, অসমের বেশকিছু অংশ নিয়ে কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। একদিকে কেপিপি যেমন প্রকাশ্যে ওই দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন করছিল তেমনি কেএলও জঙ্গি সংগঠন ওই একই দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে ভুটানের জঙ্গলে সেনা অভিযানের পর ওই আন্দোলন কিছুটা থিতিয়ে যেতেই শুরু হয়েছিল গ্রেটার কুচবিহার আন্দোলন। তাদের দাবি ছিল ভারত ভুক্তি চুক্তি মেনে বৃহত্তর কোচবিহার রাজ্যকে ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হোক। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির উত্তরবঙ্গের সাংসদ বিধায়কদের অনেকেই আবার উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত বলে আলাদা রাজ্য করার দাবি তোলেন। তাঁদের রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য বাংলা ভাগের পক্ষে নয় বলে দাবি করলেও এখনও উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি থেকে সরে আসেনি উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের একটা বড় অংশ।
তৃণমূল অবশ্য বরাবর বাংলাকে ভাগ করার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। কিন্তু এর আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল উত্তরবঙ্গে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন করে আসা অরাজনৈতিক সংগঠনগুলিকে নিয়ে কিছুটা হলেও নরমপন্থার আশ্রয় নিয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। কিন্তু এবার যে আর কোনওভাবেই উত্তরবঙ্গে পৃথক আন্দোলনের দাবিদারদের প্রশ্রয় তৃণমূল দেবে না তা ধূপগুড়ির সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরব হওয়াতেই স্পষ্ট হয়েছিল। তারপর এদিন কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতির বক্তব্যে সেটাই ফের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে।