সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুর মহকুমা জুড়ে দেদার চলছে অনলাইন লোটো বা জুয়া। এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুব সমাজ। হরিরামপুর, কুশমণ্ডি, বংশীহারি ব্লকের গ্রামীণ এলাকায় রমরমিয়ে অনলাইন লোটো চলছে। ছোট দোকানে একটি কম্পিউটার ও ছোট প্রিন্টার এবং সাথে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত এই লোটো চলে। অপেক্ষাকৃত কম জনবহুল এলাকায় চক্রের মাথারা প্রথমে গ্রামের বেকার যুবকদের অনলাইন জুয়ার দোকানের প্রলোভন দিচ্ছে। চক্রের চাঁইরাই কম্পিউটার থেকে সমস্ত কিছু সরবরাহ করে কমিশনের মাধ্যমে জুয়া চালাচ্ছে। অনলাইন জুয়ার নেটওয়ার্ক এখন জেলার প্রত্যেকটি গ্রাম থেকে মফস্বল এলাকায় ঢুকে পড়েছে। যত দিন যাচ্ছে নতুন নতুন অনলাইন জুয়ার ঠেক তৈরি হচ্ছে। কোথাও সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ তৈরি হলেই পুলিসের ভয়ে ঠেক তুলে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন এতে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে, শূন্য থেকে ৯৯ পর্যন্ত ঘর রয়েছে। এক টাকা থেকে শুরু করে যত খুশি টাকা লাগানো যায়। এতে মাত্র একটি নম্বরকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর অনলাইনে খেলা হচ্ছে। অনেকে হাতে গরম পুরস্কার পেয়ে যাচ্ছে। আর মহারাষ্ট্র থেকে এই অনলাইন জুয়া খেলা অপারেট করা হচ্ছে বলে খবর। পুলিস প্রশাসনের অগোচরে কীভাবে জেলায় এমন জুয়ার রমরমা চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর পিছনে কার মদত রয়েছে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন বাসিন্দারা। প্রাথমিক ভাবে কুশমণ্ডি থানার হাসরইল, উষাহরণ, সরলা, ভক্তিপুর, হরিরামপুর থানার বানপুকুর, কাকাদিঘি, গোকর্ণ, বরভিটা এবং বংশীহারি থানার বদলপুর, কুশকারি, দৌলতপুর, ডিটোল এলাকায় অনলাইন জুয়ার সেন্টার নজরে এসেছে। যদিও মহকুমা পুলিসের কাছে এনিয়ে কোনও তথ্য নেই বলে তারা জানিয়েছে।
অনলাইন জুয়া চক্রের এক সদস্য মকিম হোসেন বলেন, আমার বাড়ি মালদহ জেলায়। আমি কমিশনে কাজ করি। সেন্টার আমি চালাচ্ছি না। চাঁচল এলাকায় আমার মালিক রয়েছে। তিনি কমিশনে কাজ করেন। মালিক কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ইন্টারনেট চালানোর ডিভাইস দেয়। এতে কোনও টাকা লাগে না। খেলার জন্য অ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে হবে। আমি সেন্টারে কালেকশন ও প্রিন্টারের রোল পাল্টানোর কাজ করি। এজেলায় শুধু আমরা খেলেছি না।