রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্থানীয়রা বলেন, অতীতে বেহুলা নদীকে বাঁচাতে নানাভাবে আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু, কোনও কিছুতেই লাভ হয়নি। নদী জল এখন এতটাই দূষিত, যে নদীতে নামতে লোকজন ভয় পায়। নদী বাঁচাতে কোনও জনপ্রতিনিধি ভাবেননি। এই নদীর সঙ্গে ইতিহাস জড়িয়ে আছে। নদী বাঁচানো গেলে স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও বাঁচবেন।
গৌড় মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা মালদহ জেলার লোকসংস্কৃতি গবেষক সুস্মিতা সোম বলেন, বেহুলা নদীর উল্লেখ মনসামঙ্গল কাব্যে রয়েছে। একে ঘিরে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। জেলার প্রাচীন এই নদীকে বাঁচাতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। নদীর এই অবস্থা দেখলে এখন খুব দুঃখ লাগে ও অসহায় মনে হয়। নদী বাঁচাতে প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিত। নইলে একসময়ে দেখা যাবে নদী দখল হয়ে বসতি গড়ে উঠছে।
মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রুলেখা বিবি বলেন, নদীর অবস্থা ভালো নেই। অনেক আগে নদীবক্ষ সাফাই করা হতো। এখন তা বন্ধ আছে। এনিয়ে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনীক ঘোষ বলেন, প্রশাসনের এখনই ভাবা উচিত। নইলে জেলার প্রাচীন এই নদী হারিয়ে যাবে।
মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি চন্দনা সরকার বলেন, নদীকে ঘিরে আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এ জন্য অর্থের দরকার। আমরা এ নিয়ে জেলা পরিষদের মিটিংয়ে আলোচনা করব। নদীবক্ষ সাফাই করা হবে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নজরেও বিষয়টি নিয়ে আসব। তবে নদীকে বাঁচতে সমাজের সকল স্তরের লোকজনকে এগিয়ে আসা উচিত।
জনশ্রুতি রয়েছে, এই নদীর উপর দিয়েই পুরাকালে সতী বেহুলা তাঁর স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে আনবার জন্য হিমালয়ে গিয়েছিলেন। এটি মনসামঙ্গল কাব্যেও লেখা রয়েছে। সেই অনুসারে নদীর নাম বেহুলা নদী হয়েছে। তবে এখন এই নদীতে আগের মতো জল নেই, প্রবাহও নেই। নদী তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। নিজস্ব চিত্র