কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বদেশ সরকার বলেন, নিয়ম অনুসারে পাইপ লাইন বসানোর ঠিকাদারি সংস্থাই ওই রাস্তা মেরামত করবে। কিন্তু তারা মেরামত করছে না। এমইডি দপ্তরে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। পুজোর আগেই যাতে রাস্তা মেরামত করা হয় সেজন্য বলা হয়েছে।
বাসিন্দারা বলেন, পুরসভা এলাকার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তা বেহাল হয়ে আছে। যদিও পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। ১, ২, ৩ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক রাস্তা বেহাল। ৭ নম্বর ওয়ার্ড পাইপ লাইন বসানোর জন্য মাটি খোঁড়ায় রাস্তা বেহাল হয়েছে। মিঠাপুর, দেশবন্ধুপাড়া, শ্রীপল্লি, মহব্বতপুর,ভুসামনি, নিচিতপুর, উত্তর ডালখোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা কঙ্কালসার হয়ে পড়েছে। বর্ষার মরশুমে একাধিক রাস্তায় পিচের চাদর উঠে গিয়েছে। বড় বড় গর্তের ফলে চলাচল করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হেঁটে চলাফেরা করতে গেলে জল কাদা, নোংরা জল শরীরে লাগছে। গর্তে বাইক, সাইকেলের চাকা পিছলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। রাতে এই সমস্ত রাস্তা দিয়ে চলচল করা আরও মুশকিল হয়ে পড়ে। বৃষ্টি চলাকালীন চলতে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রবল। গর্তগুলিতে জল জমে থাকার কারণে বোঝাই যায় না কোথায় গর্ত, কোথায় সমতল। হঠাৎ বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে কিংবা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দরকার হলে বেহাল রাস্তার কারণে সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
পুজার দিনগুলিতে মানুষ আনন্দে উৎসবে শামিল হয়। গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় চলাচল করে। কিন্তু কঙ্কালসার রাস্তা মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। পুজোয় প্রচুর মানুষ একসঙ্গে রাস্তায় বের হয়। বাইক, সাইকেল সহ ছোট গাড়ির ভিড় লেগে থাকে। পুজোর দিনগুলি যাতে পথ চলতে সমস্যা না হয় সেজন্য বাসিন্দাদের দাবি পুজোর আগেই রাস্তা মেরামত হোক।