গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার-২ এবং কুমারগ্রাম ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে ছোট-বড় বোর্ডগুলিতে এই ধরনের কার্যকলাপ গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে। বোর্ডগুলি আগে বসানো হয়েছে। কিন্তু দু’তিন দিন আগে বোর্ডের উপর নির্দিষ্ট ওই জায়গাগুলিতে নতুন সাদা রঙের প্রলেপ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী’ লেখাটাও নতুন। পাশে থাকা আগের লেখার সঙ্গে কোনও মিল নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে হতবাক।
বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপি নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধছেন। তাদের অভিযোগ,কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি এভাবে নাম পাল্টে তৃণমূল নেতারা এতদিন ধরে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এসেছে। প্রশাসনকে হাত করে এই কাজ করেছে। যদিও তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি প্রশাসনের কর্তারাও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক বিজেপির সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পগুলির নাম চুরি করে তৃণমূল এতদিন নিজেদের নামে চালিয়ে এসেছে। এটাই তার প্রমাণ। জেলায় কেন্দ্রীয় দল এসেছে। ধরে ফেলবে বলে রাতারাতি নাম পাল্টে দিচ্ছে। আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের বিডিও চিরঞ্জিৎ সরকার বলেন, রাস্তার কোনও বোর্ড পাল্টানো হয়নি বা নাম পরিবর্তন করা হয়নি। কুমারগ্রামের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, রাস্তার কাজগুলি জেলা পরিষদ করেছে। তারাই বলতে পারবে।
আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ দেবজিৎ সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ওই বোর্ডগুলি প্রশাসন লাগায়। তাই প্রশাসনের কর্তারাই ভালো বলতে পারবেন। আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের মধ্যে মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দিয়ে পানবাড়ি পর্যন্ত চলে যাওয়া প্রায় ১০ কিমি লম্বা রাস্তাটির দু’পাশে বিভিন্ন জায়গায় বোর্ড রয়েছে। সবগুলির নাম পাল্টানো হয়েছে। একইভাবে মহালগুড়ি থেকে তিলেরডাঙ্গা পর্যন্ত আরেকটি লম্বা রাস্তা সহ শামুকতলা, চেপানী, ধারসি, মজিদখানা এলাকার রাস্তাগুলির সাইনবোর্ড সব নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। কুমারগ্রাম ব্লকের চকচকা, ঘোরামারা সহ অন্যান্য রাস্তাগুলির সাইনবোর্ডগুলির নাম পাল্টানো হয়েছে। নিজস্ব চিত্র