পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শিলিগুড়ি পুরসভার প্রধান ভবনে স্থান সঙ্কুলানের সমস্যা বহুদিনের। এই সমস্যা মেটাতে বামফ্রন্ট শাসিত বিগত পুরবোর্ডের মেয়র অশোকবাবু উদ্যোগী হন। ওই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় তিনি দ্বিতীয় ভবনের শিলান্যাস করেন। এরপর পুরভোটে পালাবদল ঘটে। বামফ্রন্টকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়ে পুরবোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তারা সংশ্লিষ্ট প্রকল্প নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পুরসভার মেয়র গৌতম দেব বলেন, মিউনিসিপ্যাল ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সেখানে দোতলা ভবন তৈরির পরিকল্পনা নেন অশোকবাবু। আমরা সেখানেই ৬ কোটি টাকায় জি-প্লাস ফোর ভবন তৈরি করছি। ভবিষ্যতে সেখানে আরএকটি তলা তৈরি করার ব্যবস্থা থাকছে। ইতিমধ্যে নির্মীয়মাণ ওই ভবনের অধিকাংশ কাজ শেষ। পুজোর পরই সেখানে চার থেকে পাঁচটি রুম চালু করা হবে। ডিসেম্বর মাস নাগাদ নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ করে ভবনটির উদ্বোধন করা হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রাক্তন মেয়র অশোকবাবুর তৈরি প্লান আমুল পরিবর্তন করে অত্যাধুনিক দ্বিতীয় ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ভবনের নীচতলায় থাকবে রিসেপশন। পাশেই থাকবে নাগরিকদের জন্য ওয়েটিং রুম। নাগরিকরা রিসেপশনে যোগাযোগ করে বিভিন্ন দপ্তর সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়া, মেয়র, ডেপুটি মেয়র, মেয়র পরিষদদের ঘর, বিভিন্ন দপ্তর, সুসজ্জিত কনফারেন্স হল, ক্যান্টিন প্রভৃতি থাকবে। সিঁড়ির পাশাপাশি থাকবে লিফট।
এই ভবনটি চালুর পরই পুরসভার দারিদ্র দূরীকরণ সেল ঢেলে সাজা হবে। পুরসভার বর্তমান ভবনের পাশেই রয়েছে সেই সেল। সেটি চারতলা ভবন। সেখানে দারিদ্রদূরীকরণ সেল ছাড়াও বিল্ডিং বিভাগের একাংশ রয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, কাজের পরিধি বাড়ায় সেই ভবনেই জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। সেই ভবনটির পাশেই আরএকটি ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য পুরভবন ও শিলিগুড়ি আদালতের মাঝে একটি খাসজমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্তমানে জমিটি জঙ্গলে ঢাকা। ইতিমধ্যে জমিটি নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মেয়র বলেন, ওই এলাকায় প্রায় তিন কাঠা খাসজমি রয়েছে। সেই জমি রাজ্য সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছে। তা পেলেই সেখানে আরএকটি ভবন তৈরি করা হবে। সেখানে ইউপি সেল (দারিদ্রদূরকীকরণ বিভাগ) নিয়ে যাওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র