কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এনিয়েই জেলা তৃণমূলে আশঙ্কা বাড়ছে। এবার কার পালা? পাল্টা মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আমাদের দল অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। দলের কোনও নেতানেত্রী বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে জানা নেই। তবে কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রতিহিংসামূলক আচরণ করলে প্রতিবাদ জানাবই।
মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি মালদহের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গোরু পাচারকারীরা দীর্ঘদিন সক্রিয়। পাচারকারীদের সঙ্গে দুষ্কৃতীদেরও যোগ রয়েছে। বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার হয়ে গোরু পাচারকারীদের মালদহে আত্মগোপন করতে দেখা গিয়েছে। পুলিস একাধিক পাচারকারীকে জেলা থেকে গ্রেপ্তারও করেছে। ইংলিশবাজার শহরের হোটেল কিংবা জেলার কোনও দুষ্কৃতীর বাড়িতে বসে পাচারের ছক কষার বিষয়টিও তদন্তে উঠে এসেছে। সামনে এসেছে রাজনৈতিক যোগও। কালিয়াচক এলাকায় পঞ্চায়েত স্তরের এক জনপ্রতিনিধিকে পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে আরও তদন্ত হলে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়তে পারেন। সেই কারণেই সিবিআই আধিকারিকদের মালদহে সক্রিয় হওয়া নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। তবে শেষ পর্যন্ত তদন্তের আওতায় মালদহ আসবে কি না, তা কেন্দ্রীয় সংস্থাই চূড়ান্ত করবে।
পুলিস ও বিএসএফ সূত্রে খবর, ভোরের দিকেই বেশি গোরু পাচার হয়। সারারাত বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গোরু জড়ো করা হয়। তারপর গোরুর গলায় কলা কিংবা ফাঁপা বাঁশের ভেলা বাঁধা হয়। একটি ভেলার সঙ্গে অন্য ভেলা দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকে। ভোরের দিকে জওয়ানরা কিছুটা ক্লান্ত থাকেন। সেই সুযোগে গোরুগুলিকে সীমান্তের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নদীর জলে সেগুলিকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ভারতের প্রায় সব নদীর স্রোতই বাংলাদেশের দিকে। ফলে গোরুগুলি অনায়াসে বাংলাদেশের দিকে চলে যায়। ওপারের পাচারকারীদের আগে থেকেই দিনক্ষণ বলে দেওয়া হয়। তারাই গোরুগুলিকে নদী থেকে তুলে নেয়। এভাবেই হাজার হাজার গোরু পাচার হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, গোরু পাচারে পুলিস ও বিএসএফের মদতও রয়েছে। ফলে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিস আধিকারিক বলেন, সবরকম পাচারের বিরুদ্ধেই কড়া অবস্থান নিয়েছি। প্রতীকী চিত্র