কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে আমরা অপহরণ চক্রের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে এনেছি। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপহরণ সহ আর কী ধরনের অপরাধ তারা করেছে বা করার পরিকল্পনা ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের কালিয়াচক থানার বাসিন্দা এক বস্ত্র ব্যবসায়ীকে কিছুদিন আগে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কার্যত তাঁকে অপহরণ করা হয়। অভিযোগ পেয়েই দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করে পুলিস। উদ্ধার করা হয় কালিয়াচকের ফতেখানি এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীকে। সেই সূত্রেই ওই অপহরণ চক্রের নাগাল পায় পুলিস।
অপহরণ চক্রের মোট ছয় জনের সন্ধান মিললেও তিন জন গা ঢাকা দেয়। বাকি তিন জন ধরা পড়ে যায় মালদহ পুলিসের জালে। মুর্শিদাবাদ পুলিসের সাহায্য নিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নাম মাসুদ আলম, আজিজ শেখ ও দুলাল শেখ। ধৃতরা মুর্শিদাবাদের ওমরপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিস। বিভিন্ন সম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে তাঁদের অপহরণের প্ল্যান করা হতো বলে পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
সম্প্রতি যে বস্ত্র ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল তাঁর সম্পর্কেও আগে থেকেই তথ্য সংগ্রহ করেছিল ওই অপরাধ চক্র। তারপরেই ছক কষে তাঁকে তুলে নেয় তারা। জেলা পুলিসের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, মালদহ ছাড়া অন্যান্য জেলাতেও এই অপহরণ চক্র আগে অভিযান চালিয়েছে কিনা সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। অপহরণের মাধ্যমে কত টাকা তারা আদায় করেছিল এবং সেই টাকা কীভাবে খরচ করা হয়েছে বা কোথায় গচ্ছিত রয়েছে সেই সম্পর্কেও তদন্ত করা হচ্ছে।
অপহরণের অভিযোগে ধৃত ওই তিন জন প্রাথমিকভাবে নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলেও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তির সূত্র ধরেই ওই চক্রের বাকিদেরও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলবে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিস আধিকারিক।
উল্লেখ্য, মালদহের ইংলিশবাজার থেকে এক রেশন ডিলারের ছেলেকে বেশ কিছুদিন আগে অপহরণ করা হয়েছিল। তবে সেক্ষেত্রেও ফাঁদ পেতে অপহরণকারীদের হাত থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করে পুলিস। এবার ভিন জেলার একটি অপহরণ চক্রের সন্ধান মেলায় বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন মালদহের ওই পদস্থ পুলিস আধিকারিক।
তবে শুধু অপহরণই নয়, মাদক পাচার বা অন্যান্য ধরনের বড় অপরাধের সাথেও ধৃতরা যুক্ত ছিল কিনা তা নিয়েও খোঁজখবর চালাচ্ছে পুলিস। এক অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অন্য অপরাধের ক্ষেত্রে খরচ করা হতো কিনা তাও জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিসের একটি সূত্র। সব মিলিয়ে ওই তিন জনের গ্রেপ্তারকে বড় সাফল্য হিসাবেই মনে করছে পুলিস।