উচ্চতর বিদ্যায় শুভ। যে কোনও কর্মে উপার্জন বাড়বে। ব্যবসার গতি ও আয় বাড়বে। ... বিশদ
২০১৮ সালে মাথাভাঙা মহকুমা শাসকের বাংলো থেকে দক্ষিণ দিকে সুটুঙ্গা নদীরপাড় পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার পিচের রাস্তা তৈরি করেছিল পুরসভা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাটি তৈরির কয়েকদিনের মধ্যেই পিচের আস্তরণ উঠে যায়। এ নিয়ে পুরভবনে জানানো হলেও রাস্তাটি পরবর্তীতে আর সংস্কার করা হয়নি। এরপর তিনটি বর্ষা চলে গিয়েছে। এখন বর্ষাকাল চলছে। ফলে রাস্তাটি দিয়ে আর চলাচল করা যাচ্ছে না। চারবছর হতে চললেও মেরামত করল না পুরসভা।
বাসিন্দারা বলেন, নতুন সুটুঙ্গা সেতু দিয়ে শহরে প্রবেশ করার রাস্তায় দু’টি হাইস্কুল রয়েছে। স্কুল টাইমে কোর্টে বা এসডিও অফিসে যাওয়ার জন্য মহকুমা শাসকের বাংলোর পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তাটি অনেকেই ব্যবহার করেন। বর্তমানে পাথুরে জমিতে পরিণত হয়েছে গোটা রাস্তাটিই। গত ক’বছরে সাইকেল নিয়ে চলতে গিয়ে বেশ কয়েকজন বয়স্ক মানুষ পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন। তারপরও হুঁশ ফেরেনি পুরসভার। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলেন, ভোটের আগে ভাঙা রাস্তাটি মেরামত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ভোট ফুরনোর পরও কাজ কিছুই হয়নি।
এ ব্যাপারে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চন্দ্রশেখর রায় বসুনিয়া বলেন, গত বোর্ডের সময়কালে ওয়ার্ডের মূল এই রাস্তাটির কাজ করা হয়েছিল। আমরাও কাজের মান নিয়ে বারবার ওই সময়ে পুরসভাকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু, তখন কাজ হয়নি। নয়া বোর্ড গঠন হওয়ার পর এ ব্যাপারে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি তুলেছিলাম। নতুন করে রাস্তাটি তৈরি করা হবে বলে মিটিংয়েই স্থির হয়েছে।
মাথাভাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, ওই সময়ে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল। এ নিয়ে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারের সিকিউরিটি মানি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। আশা করছি, পুজোর আগেই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ করতে পারব।