বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তিনি বলেন, এবার ২১ জুলাই একটা অন্যমাত্রা পেয়েছে। দু’বছর বন্ধ ছিল। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন চেষ্টা করতে যাতে উত্তরবঙ্গ থেকে প্রচুর মানুষ যায়। কারণ, উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ ভেবেছিলেন, উত্তর দিনাজপুর বা মালদহ জেলা বাদ দিয়ে বিজেপি নির্বাচনে জয়ী হবে। সেই সব মানুষ আজ তৃণমূলে। তারা নেত্রীর কথা শুনতে চাইছেন।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপির সঙ্গে লড়াই আমাদের শুধু বাংলাতেই সীমাবদ্ধ নয়। বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই দেশের জন্য। বাংলায় আমরা বিজেপিকে হারিয়েছি, সিপিএমকে তাড়িয়েছি। কিন্তু দেশ থেকে অন্যায় মোছেনি। এদিনও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রলের দাম কমাচ্ছে না। প্রতিটি মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। একজন মানুষও বলতে পারবে না যে, সে মোদি সরকারের আমলে ভালো আছে। তার কারণ, মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এই সরকার নয়। গরিবের ভোটে কেন্দ্রে সরকার গঠন করে বড় লোকের পাশে চলে গিয়েছে। জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ধর্মীয় বিভাজন করে সারা ভারতবর্ষের গরিব মানুষের ভোট পেয়েছেন মোদি। সেই সরকার এখন তেল ও গ্যাসের দাম কমাতে পারবে না। কারণ, তেলের দাম, গ্যাসের দাম কমালে তাঁর বন্ধু ও দেশের বড় বড় শিল্পপতির ক্ষতি হবে। তাই যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে এসেছেন। এই দেড়শো কোটির দেশে ক্যাপিটালিস্ট ইকনোমি চলবে না। এখানে সবার জন্য খাবার, সবার জন্য উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের রাজ্যে যে কাজটা মুখ্যমন্ত্রী করছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে বিজেপি ছেড়ে ৩০০ জন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। সভায় মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইলাল আগারওয়াল সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ফিরহাদ সাহেব আরও বলেন, বিহার, উত্তরপ্রদেশে দারিদ্র গ্রাস করে নিয়েছে। অমর্ত্য সেন এসে রাজ্যের সরকারি প্রকল্পের প্রশংসা করে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ দারিদ্র থেকে দূরে আছে। ভারতবর্ষের অঙ্গ রাজ্য আমরা। ভারতবর্ষ ঠিক না থাকলে আমরাও ঠিক থাকতে পারব না। দেশভাগ হয়ে ১৪ আগস্ট পাকিস্তান গঠন হয়। একদিন পরে ১৫ আগস্ট ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়। ধর্মান্ধতার পথে হেঁটে আজ গোটা বিশ্বে পিছিয়ে পড়া পাঁচটি রাষ্ট্রের মধ্যে পাকিস্তান একটা। নেহেরু, গান্ধীজি, নেতাজির ধর্মনিরপেক্ষতার দর্শনে বিশ্বাসী ভারতবর্ষ আজকের বিশ্বের এগিয়ে যাওয়া রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আছে। আর মোদি সেখান থেকে টেনে ভারতবর্ষকে নামাতে চাইছেন।
অন্যদিকে, এদিন সন্ধ্যায় পুরাতন মালদহ শহরের তাঁতিপাড়া শক্তিসঙ্ঘ ময়দানে শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভা করেন ফিরহাদ সাহেব। তিনি কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করে ২১ জুলাই ধর্মতলায় সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান। এদিনের সভায় মালদহ জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থক এবং জেলার মন্ত্রী থেকে বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি দেশকে বেচে দিচ্ছে, তাদের সরানোর সময় এসে গিয়েছে। ২০২৪ সালে সেই সুযোগ আমাদের কাছে আসছে। আমরা আগে সিপিএম হঠাও, দেশ বাঁচাও করেছি। এবার বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও করতে হবে।