পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আজকের বৈঠকের জন্য প্রশাসন পুরসভা মারফৎ ব্যবসায়ীদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। আজ তুফানগঞ্জ এসডিও অফিসে বৈঠকটি হবে। তুফানগঞ্জ পুরসভার স্যানিটারি ইনসপেক্টর দেবজ্যোতি ভৌমিক বলেন, শনিবার থেকে শহরের দোকানে দোকানে, হাটে-বাজারে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। শনি, সোম এবং মঙ্গলবার এই তিনদিনে বিভিন্ন দোকানে মজুত করে রাখা প্রায় ১০ কেজি প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ আমরা বাজেয়াপ্ত করেছি। বারেবারে সতর্ক করার পরেও নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে ক্রেতাদের পণ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে শোকজ করা হয়েছে। শীঘ্রই আমরা জরিমানা করার পথে হাঁটব। তাই তার আগে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে নিয়ে বৈঠক করে এ ব্যাপারে বুধবার বার্তা দিতে চলেছি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তুফানগঞ্জ শহরের মাছ ও মাংস, হোটেল, রেস্তরাঁ, মুদিখানা, সব্জি, ওষুধপত্র, স্টেশনারি, মিষ্টির দোকান ব্যবসায়ীদের কাছে বৈঠকের ব্যাপারে চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। পাশাপাশি প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ও থার্মোকল নিয়ে রাজ্য সরকারের যে নির্দেশিকা রয়েছে সেটাও ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তুফানগঞ্জ মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নিত্যেন্দ্রচন্দ্র দে বলেন, মহকুমা প্রশাসন ও পুরসভার তরফে পাঠানো চিঠি আমরা পেয়েছি। সরকারি নির্দেশ অবশ্যই মেনে চলা হবে। অনেকদিন ধরেই আমরা সংগঠনের ছত্রছায়ায় থাকা ব্যবসায়ীদের এ ব্যাপারে জানিয়ে আসছি। অনেকেই নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বর্জন করেছেন। কেউ কেউ হয়তো ব্যবহার করছেন। তাঁদের আবারও সতর্ক করা হবে। তবে এরপরেও কেউ তা ব্যবহার করতে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকেই নিতে হবে।
ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক সুকান্ত সাহা বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অবশ্যই সমস্ত ব্যবসায়ীকে মেনে চলতে হবে। তবে গ্রাহকদেরও এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কেনাটাকাটা করতে এসে অনেকেই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বিক্রেতার কাছে চান। এটা করা চলবে না। ক্রেতাকেই সঙ্গে ব্যাগ নিয়ে আসতে হবে। তবে বিক্রেতাদের আমরা কাগজের ঠোঙা ব্যবহার করতে বলছি। আমরা প্রশাসনের ডাকা বৈঠকে যাব। যাতে সচেতনতার দিকটি নিয়ে আরও বেশি প্রচার করা হয় সেই আবেদন রাখব। প্রতীকী চিত্র