পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবার জিটিএ নির্বাচনে ঘোষিত না হলেও তৃণমূলের সঙ্গে অনীত থাপার দলের আসন সমঝোতা হয়েছিল। কেননা বিজেপিএম তৃণমূলকে ১০টি আসন ছেড়ে দিয়ে নিজেরা ৩৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। তাতে স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলের কৌতূহল রয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে অনীত থাপার দল জিটিএ’তে বোর্ড গড়বে কিনা। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে এ প্রশ্নে অনীত রহস্য জিইয়ে রেখে বলেন, নির্বাচিত ৪৫ জন প্রতিনিধিকে যোগ্য সম্মান ও মর্যাদা দিয়েই বোর্ড গঠন করা হবে। সবাইকে নিয়েই পাহাড়ের উন্নয়ন করতে হবে আমাদের। মমতার সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গে অনীত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সহ আরও অনেকের সঙ্গে দেখা করব। কেননা রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় কীভাবে জিটিএ পরিচালিত হবে, বোর্ডে কোথাও সমস্যা বা জটিলতা রয়েছে কি না এ ব্যাপারে সবটাই বুঝে নিতে হবে। পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ চাইব। পাহাড়ে অনেক সমস্যা রয়েছে, পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। জিটিএ কর্মচারীদেরও সঠিকভাবে পরিচালনা করার দরকার আছে। গোটা প্রক্রিয়াটি ঠিক হলে সব ঠিক হবে। সব মিলিয়ে আমাদের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার গঠন হওয়ার পর গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ গঠন হয়। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এবং শিলিগুড়ি মহকুমার কিছু মৌজা নিয়ে জিটিএ এলাকা। ১০ বছর ধরে জিটিএ নির্বাচন হয়নি। এর আগে ২০১২ সালে মনোনীত বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন বিমল গুরুং। বিমলের নেতৃত্বে ২০১৭ সালে ফের পাহাড় রক্তাক্ত হয়। তখন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে প্রথমে বিনয় তামাং পরে অনীত থাপাকে চেয়ারম্যান করা হয়। তারপর প্রশাসক বসানো হয়। অবশেষে আবার জিটিএ’র নির্বাচিত বোর্ড গঠন হতে চলেছে।