বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ব্লক প্রশাসন ও আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু কাজ সেখানে হয়েছে। ১৩০ মিটার কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য কত টাকার প্রস্তাব পাঠানো হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। এখন ডিপিআর তৈরির কাজ জোর কদমে চলছে। এরপরই জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। তারপর অনুমোদন এলে পরবর্তীতে কাজ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই শনিবার দুপুরে গাজোলের ময়না গ্রাম পরিদর্শনে যান মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। জেলা পরিষদের সভাধিপতি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ একাধিক দপ্তরের কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তিনি ওই গ্রামে একটি জনতার দরবার বসান। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে জেলাশাসক মিশে গিয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগ মন দিয়ে শোনেন। তখন গ্রামবাসীরা সেতুর সমস্যার কথা তাঁর কাছে তুলে ধরেন। জেলাশাসক স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে এই সেতু করতে উদ্যোগ নিতে বলেন।
গাজোলের জয়েন্ট বিডিও দেবব্রত ঘোষ ও আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক বজরুল রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই সেতু হবে। আমরা খুব শীঘ্রই ডিপিআর তৈরি করে সেতুর প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেব। তারপর তাঁরা ঠিক করবে কোন দপ্তর থেকে এই সেতু নির্মাণ হবে। সব কাজ দ্রুত চলছে।
গ্রামের বাসিন্দা মলয় সরকার বলেন, সেদিন আমরা ছিলাম। গ্রামে জেলাশাসক এসেছিলেন। তিনি নিজে সব কিছু খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। মানুষের কষ্ট তিনি অনুভব করেছেন। এই সেতুর দাবি বহু বছরের। এবার হবে। সেতু হলে দশ হাজার বেশি গ্রামবাসী উপকৃত হবেন।
প্রসঙ্গত, গাজোল ব্লকের উত্তর আলালের শ্রীমতি নদীর উপর চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোই ভরসা। এই পথ দিয়ে দেবীদহ, কালীনগর, গৌরাঙ্গপুর, কানাইনগর, মালডাঙা সহ ১০টি গ্রামের অগণিত মানুষ যাতায়াত করেন। বর্ষার সময় নদীতে জল অনেকটা বেড়ে যায়। তখন প্রসূতি থেকে শুরু করে কৃষক, দিনমজুরদের মালপত্র নিয়ে যেতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। সকলেই চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন। এই সমস্যা দীর্ঘকাল ধরেই চলছে। এবার দেবীদহে নতুন সেতু নির্মাণ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হবে। এখন দেবীদহ গ্রামে শ্রীমতী নদীর উপর এই বাঁশের সেতু দিয়েই যাতায়াত চলে। -নিজস্ব চিত্র