বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই জখম শিশুর নাম বাসন্তী বর্মন। সে সবেমাত্র স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। ওই স্কুলে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১০০ পড়ুয়া রয়েছে। এখনও চলছে ভর্তি প্রক্রিয়া। এদিকে, এদিন ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীকে দেখতে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা। তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। স্কুল খোলার আগেই আমি জেলার সমস্ত স্কুলকে নোটিস পাঠিয়েছিলাম। স্কুলের পানীয় জল, শৌচাগার, বসার জায়গা থেকে শুরু করে সমস্ত পরিকাঠামো দেখে নেওয়ার জন্য জানিয়েছিলাম। এরপরেও কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টির তদন্ত করা হবে।
অন্যদিকে, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শুভব্রত দাস বলেন, আমি অসুস্থ থাকার কারণে কিছুদিন ধরে ছুটিতে রয়েছি। পুরোপুরি জানা নেই। তবে এই বিষয়টি অন্য শিক্ষকদের কাছে জানতে পেরেছি। ওই শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফ্যানগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তা আমাদের দেখতে হবে।
এদিকে, জখম শিশুর মা দীপিকা বর্মন বলেন, আমার মেয়ের মাথায় দু’টি সেলাই পড়েছে। যার ফলে এখন মেয়েকে নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। আর স্কুলের এই হাল হলে আমরা বাচ্চাদের কীভাবে স্কুলে পাঠাব বলুনতো।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের ছাদ একেবারেই ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে ওই ফ্যানের হুকগুলি নড়বড়ে রয়েছে। আর তা সংস্কার করার মত কেউ না থাকায় এই ধরনের বিপদের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, স্কুলশিক্ষা দপ্তর আগেই স্কুলের নিরাপত্তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য নোটিস জারি করলেও, কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এখানে স্কুলের উদাসীনতাকেই দায়ী করছে ওয়াকিবহাল মহল।