কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার পর ববিতা বলেন, আমি এসএসসি’র মেধা তালিকায় ওয়েটিং লিস্টে ছিলাম। অনেক আন্দোলন করেছি। তারপর ওই তালিকা থেকেই নিয়োগ করে সরকার। কিন্তু, নিয়োগে অস্বচ্ছতা ছিল। প্রতিবাদে তাই মামলা করেছিলাম। হাইকোর্টের নির্দেশে আমার চাকরি হয়েছে। সেই মতোই ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে যোগ দিলাম। ব্যক্তিগতভাবে কারও বিরুদ্ধে আমার লড়াই ছিল না। নিয়োগ পদ্ধতির বিরুদ্ধে চার বছর ধরে চলা লড়াই আজ সফল হল। এই কারণেই আমি খুশি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ববিতা সরকার আমাদের স্কুলে যোগ দিয়েছেন। কোর্টের নির্দেশ মেনেই তাঁকে শিক্ষিকা পদে যোগদান করিয়েছি। মঙ্গলবার থেকে উনি স্কুলে আসবেন। আমাদের ১২ জন শিক্ষিকা বদলি নিয়ে চলে গিয়েছেন। সেই জায়গায় একজন শিক্ষিকা পেলাম। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে বাড়ি থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে শিক্ষিকা হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা। প্রথমে এসএসসি নিয়োগ তালিকায় নামই ছিল না তাঁর। পরে আচমকা তার নাম ওয়েটিং লিস্টের একনম্বরে চলে আসে। এ নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় হয়েছিল। পরে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়েই ওই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় অঙ্কিতাকে।
হাইকোর্টের নির্দেশেই ওই মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। পরেশচন্দ্র অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরাও দিয়েছেন। স্কুল থেকে এতদিন অঙ্কিতা যা বেতন পেয়েছেন, তার প্রথম কিস্তির টাকা হাইকোর্টে জমাও দিয়েছেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে কাজে যোগ দিতে এলে এদিন ববিতাকে দেখতে স্থানীয় মানুষ স্কুল চত্বরে ভিড় করে।
এ ব্যাপারে পরেশবাবুকে টেলিফোন করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এবিভিপির মেখলিগঞ্জের নেতা অনুভব দত্ত বলেন, ববিতা ম্যাডামের লড়াইকে কুর্নিশ জানাই। শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তিনিই প্রধান মুখ। সিপিএম নেতা আতাবুল হক বলেন, ববিতা এখন এ রাজ্যে প্রতিবাদের প্রতীক। এদিন ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে কাজে যোগ দেওয়ার ববিতাকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, কোর্টের নির্দেশ নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি ববিতার সাফল্য কামনা করি।