বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারও হাসপাতালের ল্যাবরেটরি থেকে দু’জনের ডেঙ্গু রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। একজন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) বৈভব চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু কোন কোন এলাকায় ধরা পড়ছে, তা নিয়ে নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে প্রশাসনের কাছে সার্ভে রিপোর্ট আসছে। কোথাও ডেঙ্গুর লার্ভা ধরা পড়লেই আমরা সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত বা পুরসভাকে বিষয়টি জানিয়ে দিচ্ছি। তাঁরা নিজস্ব টিম নিয়ে ওই লার্ভা নষ্ট করার কাজ করে ফেলছেন। বর্ষার মরশুমে এই কাজে আরও জোর দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এদিন মেডিক্যাল চত্বর ডেঙ্গুমুক্ত রাখতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ইংলিশবাজার পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরসভার চেয়ারম্যান সাফ জানান, ড্রেনের উপর অবৈধ নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন কিছু মানুষ। ড্রেনে আবর্জনা ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জল জমছে মেডিক্যাল চত্বরে। ফলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। আমরা ওইসব মানুষকে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য আগেও অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তাতে তাঁরা কর্ণপাত করেননি। পুরসভাকে এদিন সেসব অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিতে হয়েছে। মেডিক্যাল চত্বরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর বানানোর চেষ্টা বরদাস্ত করবে না পুরসভা।
মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ পাপড়ি নায়ক বলেন, আমরা ডেঙ্গুর মরশুমে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। ব্লক স্তরের চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমরা যে রিপোর্ট পাচ্ছি, তাতে সপ্তাহে গড়ে চারজন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে। প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে নিয়মিত ব্যবধানে আমরা ডেঙ্গু সংক্রান্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করছি।
এদিকে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ময়দানে নেমেছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও।