বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে পুরসভা ব্যবসায়ীদের এই যুক্তি মানতে নারাজ। পুরসভার দাবি, ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের কাছে প্রস্তাব চাওয়া হলেও সেই প্রস্তাব ব্যবসায়ীরা দেননি। দীর্ঘদিন স্টলের ভাড়া বৃদ্ধি পায়নি। আর যে পরিমাণ ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে তা খুবই সামান্য।
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরজ কুমার ঘোষ বলেন, পুরসভা পরিচালিত বাজারগুলিতে থাকা স্টলের ভাড়া অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ব্যবসায়ীদের পক্ষে দেওয়া অসম্ভব। পুরসভা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই এটা করেছে। আমরা এই ভাড়া বৃদ্ধি মানি না। আমরা এই হারে ধার্য করা ভাড়া দেব না। আমরা চাই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে ভাড়া পুনর্বিবেচনা করা হোক। আমরা শীঘ্রই পুরসভাকে এই বিষয়ে আবেদন জানাব। পুরসভা আমাদের আবেদন না মানলে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আমরা ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছি। ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের প্রস্তাবও বারবার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কোনও প্রস্তাব দেয়নি। দীর্ঘদিন কোনও ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি। আড়াই, তিন ও চার টাকা কোনও ভাড়া বৃদ্ধি হলো? ওই ধরনের স্টলের এখন ভাড়া অনেক। এখানে তো সর্বনিম্ন ভাড়া ধার্য করা হয়েছে। আন্দোলন করার অধিকার সবারই আছে।
এতদিন পুরসভার অধীনে থাকা বিভিন্ন বাজার এলাকার স্টলের ভাড়া ছিল দশ পয়সা থেকে শুরু করে ১ টাকা ২০ পয়সা প্রতি বর্গফুট। সম্প্রতি সেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, পুরসভার অধীনে বিভিন্ন বাজারে যে স্টলগুলি আছে সেগুলির আয়তন ১০০ থেকে ১৫০ বর্গফুট। সেই হিসেবেই এতদিন তাঁরা মাস প্রতি স্টলের ভাড়া দিয়ে এসেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে পুরসভা স্টলের ভাড়া একলাফে অনেকটাই বৃদ্ধি করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা ভাড়া পুনর্বিবেচনা না করলে তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলেও দাবি করেছেন।